নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের জের। আজ থেকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির (Junior Doctors Protest) ডাক জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাঁদের তরফে ১০ দফা দাবি রাখা হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে৷ জানা গিয়েছে যতদিন না সেই দাবি পূরণ হচ্ছে, ততদিন জুনিয়র ডাক্তারদের এই কর্মবিরতি চলবে। সোমবার সন্ধ্যায় দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করার পর এমনই সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট। এর আগে ৪২ দিন ধরে তাঁদের কর্ম বিরতি চলছিল। এরপর গত ১৯ অগাস্ট সেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ তবে আজ থেকে ফের শুরু হল পূর্ণ কর্মবিরতি।
প্রসঙ্গত, পানিহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সরা কর্মবিরতি চালাচ্ছেন। সেখানে তাঁরা মোট ১০ দফা দাবি পেশ করেছেন। সেই দাবি পুরো না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি (Junior Doctors Protest) যে চলবে তা জানিয়ে রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। সোমবার জিবি বৈঠক শেষে চিকিৎসকদের দাবি, রাজ্যের তরফ থেকে বারবার নিরাপত্তার আশ্বাস মিলেছে কিন্তু কোনও নিরাপত্তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করতে পারেনি রাজ্য সরকার। এ নিয়ে তাঁরা সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে (Junior Doctors) ঘটে যাওয়া সম্প্রতি উদাহরণও টেনেছেন। আন্দোলনকারীরা জানান, সরকার নিরাপত্তা দিতে না পারায় পূর্ণ কর্মবিরতির (Junior Doctors Protest) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডাক্তারদের (Junior Doctors) তরফ থেকে যে ১০ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে সেগুলি হল- আরজি করের নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতালগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, সমস্ত সরকারি হাসপাতালে (Medical Colleges) কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা, হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, হাসপাতালগুলিতে শূন্যপদ পূরণ করা, থ্রেট কালচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা, দ্রুত সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও তাঁদের দাবিতে রোগী নিরাপত্তার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ এই বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে বলা হয়েছে, “২৬ সেপ্টেম্বর অপূর্ণ দাবিগুলি জানিয়ে এবং ২৯ সেপ্টেম্বরে সরকারের লিখিত ডিরেক্টিভগুলি দ্রুত লাগু করার দাবি জানিয়ে মুখ্যসচিবকে দু’বার ইমেল করা হয়েছে৷ দু’টি ইমেলে মুখ্যসচিবকে উক্ত বিষয়গুলি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্ব-সহ স্টেট টাস্ক ফোর্সের মিটিংয়ের আহ্বান করার অনুরোধও জানানো হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, রাজ্য সরকার মিটিং ডাকা তো দূরঅস্ত, আমাদের চিঠি দু’টির কোনও উত্তর দেওয়ারও প্রয়োজন বোধ করেনি। ৯ অগাস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫২ দিন পেরিয়ে গেলেও নিরাপত্তার নামে কী পাওয়া গেল? যেই সিসিটিভি-কে রাজ্য সরকার নিরাপত্তার মূল নিদর্শন বলে প্রচার করতে চাইছে, সেই সিসিটিভি কলেজগুলিতে মোট প্রয়োজনের মাত্র ২৬ শতাংশ লাগানো হয়েছে এই ৫০ দিন ধরে।”