নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছরের মতোই এ বছরেও মহালয়ার (Mahalaya) ভোরে চেনা চিত্র দেখা গেল শহর কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন ঘাটে। পিতৃপুরুষকে জলদান করতে ভোর থেকেই ভিড় বাবুঘাট, বাগবাজার, নিমতলা ঘাটে। তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে তর্পণ। এদিন পূর্বাভাস অনুযায়ী সাতসকলেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মানুষ ভিড় করেছেন বিভিন্ন ঘাটে। শহর কলকাতার পাশাপাশি এই একই চিত্র জেলাতেও। বালুরঘাট, ব্যারাকপুর, উত্তরপাড়া, নদিয়া, বাঁকুড়া গঙ্গাসাগর সহ বিভিন্ন জেলায় চলছে তর্পণ।
অন্যদিকে দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে আজ দিঘার সমুদ্র সৈকতেও তর্পণ করলেন বহু মানুষ।
মহালয়ার (Mahalaya) দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত আছে। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। আজ পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণের দিন। এর পরের দিন থেকে দুর্গাপুজো তথা দেবীপক্ষ শুরু হচ্ছে। এই দিনটিতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী (Mahisasuramardini) না শুনলে দুর্গাপুজো শুরু হয় না। এই অনুষ্ঠানই যেন নিজের সঙ্গে করে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) আমেজ বয়ে আনে। আর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের এই মোহিনীকণ্ঠ প্রতিবারই গোটা একটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে মহালয়ের ভোরে।
এদিন ভোর থেকে গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতটেও উপচে পড়ছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। শহর কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। এবছরও নদীয়ার নবদ্বীপ শহরের ফাঁসিতলা, রানীর ঘাট, পোড়াঘাট, বড়াল ঘাট সহ প্রায় সকল গঙ্গার ঘাটে ও নবদ্বীপ ব্লকেরও বিভিন্ন গঙ্গার গাটে ভোর হতেই শুরু হয় সাধারণ মানুষের আনাগোনা। ভোর থেকেই দামোদর নদে পিতৃতর্পণে ভিড় সাধারণ মানুষের।
তবে প্রতি ঘাটেই সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গঙ্গায় চলছে পুলিশের টহলদারি। কলকাতা পুলিসের তরফে বোটের মাধ্যমে নজরদারি চলছে। একটি নির্দিষ্ট দূর্ত্বের বাইরে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। জোয়ারের সময় যাতে কেউ ঘাটে না থাকে তার জন্য সাবধান করা হচ্ছে মানুষজনকে।