নিউজ ডেস্ক: রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করে তাক লাগাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু মহালয়ার সকালেই পুজো বন্ধের (Durga Puja) সিদ্ধান্তের কথা জানালেন উদ্যোক্তারা। মামলা লড়ার টাকা নেই, তাই পুজো না করারই সিদ্ধান্ত নিলেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করতে গিয়েই আইনি জটিলতায় পড়েন তাঁরা। তাই বাধ্য হয়েই শেষমেশ রানাঘাটের কামালপুর এলাকার অভিযান সঙ্ঘ ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো না করারই সিদ্ধান্ত নিল।
চলতি বছর ‘বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা’ (Durga Puja) তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিল নদিয়ার রানাঘাটের কামালপুর অভিযান সংঘ। ১১২ ফুটের প্রতিমা তৈরি করে তাক লাগাতে চেয়েছিল তারা। প্রায় ২০টি গ্রাম এবং একাধিক ক্লাব সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসেছিল এই উদ্যোগের জন্য। কিন্তু এত বড় দুর্গা দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড় হলে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথাটি মাথায় রেখে এই প্রতিমা তৈরির অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন উদ্যোক্তারা। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ আগের শুনানিতে জানিয়েছিলেন, পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা আদালতকে জানাতে হবে জেলাশাসককে। গত বৃহস্পতিবার নদিয়ার জেলাশাসক আদালতে জানান, পুলিশ, বিদ্যুৎ দপ্তর, দমকল, রানাঘাট মহকুমাশাসক পুজোর অনুমতি দেননি। নদিয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত যে সরকারি নিয়ম রয়েছে তা মানেননি এই পুজোর উদ্যোক্তারা। আর সেই কারণে মেলেনি অনুমতি।
এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তাদের তরফের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম হাই কোর্টকে জানিয়েছিলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে ওই ক্লাব দুর্গাপুজো (Durga Puja) করছে। কোনও বছর অনুমতি নিয়ে সমস্যা হয় না। এ বছর ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা বানানো হয়েছে। যা নজির গড়তে পারে। কিন্তু আইনি জটে পড়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
এ প্রসঙ্গে এক পুজো উদ্যোক্তার বক্তব্য,”আদালতে জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছিলেন আমাদের, যাতে বিবেচনা করে দেখা হয়। আসলে এই পুজোটায় (Durga Puja) একটা গোটা গ্রামকে তুলে আনার প্রয়াস ছিল। গ্রামের পরিকাঠামোই উন্নত হত। কারণ গ্রামের ছেলেমেয়েরাই কাজ করছিল। এখন পর্যন্ত ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এটা গ্রামবাসীদেরই টাকা। আদালতে যাওয়ার মতো, গ্রামবাসীদের কাছে আর টাকা নেই। চাঁদা দেওয়ার মতো পরিস্থিতিটুকুও নেই। আদালতে গেলে তো পয়সা লাগে।”