নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার সকালে আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) বসানো হল তিলোত্তমার ‘প্রতীকী মূর্তি।’ তিলোত্তমার প্রতীকী মূর্তিটি (RG Kar Doctor Symbolic Statue) বসানো হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে প্ল্যাটিনাম জুবিলি হলের সামনের ফাঁকা জায়গায়। এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ মূর্তিটি উন্মোচিত হয়। শিল্পী অসিত সাঁই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মূর্তি উন্মোচনের পাশাপাশি এদিন পথনাটিকার মধ্যে দিয়ে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানালেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা।
মূর্তি বসানো নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা (Junior Doctors) বলেন, ‘ফাইবারের তৈরি মূর্তিটির সঙ্গে ধর্ষিতা এবং নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার চেহারার কোনও মিল নেই। এক নারীর যন্ত্রণার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আবক্ষ মূর্তিটিতে। ভাস্কর অসিত সাঁই বিনা পারিশ্রমিকে ফাইবার গ্লাসের এই মূর্তিটি (RG Kar Doctor Symbolic Statue) তৈরি করে দিয়েছেন।’ এই মূর্তি উন্মোচনের পরে জুনিয়র ডাক্তারেরা গোলাপ ফুল নিয়ে আসেন নির্যাতিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে।
উল্লেখ্য, মহালয়ার আগের রাত থেকে মহালয়ার ভোর। রাতদখল থেকে ভোরদখল। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে পথে নেমেছেন, স্লোগান দিয়েছেন। পথনাটিকা, গানে-নাচে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। শহর থেকে জেলা… সমস্ত জায়গাতেই চলেছে প্রতিবাদ। আর এবার প্রতিবাদের আরও এক অন্য মুখ। প্রতিবাদ যেন ভাষা পেল.. মুখ (RG Kar Doctor Symbolic Statue) পেল। নির্যাতিতার যে ভাস্কর্য তৈরী করা হয়েছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সময়ের কান্না’। শিল্পীর কল্পনায় সেই মূর্তিই যেন প্রতিবাদে দৃপ্ত।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য ভবনের অদূরে অবস্থান-বিক্ষোভের সময়েই জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রতীকী মূর্তি উন্মোচনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। জানানো হয়েছিল, মহালয়ার দিনেই মূর্তি (RG Kar Doctor Symbolic Statue) উন্মোচন করা হবে আনুষ্ঠানিক ভাবে। সেই মতো আজ সকালে মূর্তিটি উন্মোচিত হয়। মূর্তিটি হল, আকাশের দিকে তাকিয়ে একটি মেয়ে চিৎকার করছে। প্রসঙ্গত, নির্যাতিতার মুখের আদলে এই মূর্তি তৈরি হয়নি। তাঁকে ভাবনায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই মূর্তি। গতকাল রাতেই এই মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। আজ এই মূর্তির উন্মোচন হল। দেবীপক্ষে যেমন মা আসেন, ঠিক তেমনই প্রতিবাদের ভাষা থেকে আজ উন্মোচন করা হল এই মূর্তির।