নিউজ ডেস্ক: পুজোর মুখেই ফের রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের এলাকা জগদ্দল। অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) বাড়ি লক্ষ্য করে চলল গুলি, বোমাবাজি। বোমার আঘাতে আহতও হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ। এমনই দাবি তাঁর। তবে, তিনি আপাতত বাড়িতেই আছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে এই ঘটনাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্জুন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তাঁদেরও মদত রয়েছে এই ঘটনার পিছনে।
এ ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) অভিযোগ, পুলিশের সামনেই গুলি-বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে বেশ কয়েকটি বাইক নিয়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে এসেছিল একদল দুষ্কৃতী। আচমকাই তারা বোমাবাজি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। বোমা-গুলির আওয়াজে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন প্রাক্তন সাংসদ। সেই সময়ই বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে লাগে অর্জুন সিংয়ের পায়ে। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে, একসঙ্গে ২০-৩০ যুবক এলাকায় জমায়েত করেছিল। ওই জমায়েত থেকেই তার বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ অর্জুন সিংয়ের।
অর্জুনের (Arjun Singh) কথায়, “আমি বাড়ির ভিতরে ছিলাম। আমার নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মীদের উপর ইট-বোমা ছুড়েছে। ২০-২৫টি বোমা পড়েছে। ১৫-২০ রাউন্ড গুলি চলেছে। হামলার পিছনে তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের প্ররোচনা আছে। আমার পায়ে বোমার সপ্লিন্টারের আঘাত লেগেছে। নিজের লড়াই এবার নিজেকেই লড়তে হবে।” যদিও পাল্টা তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের দাবি, “মিথ্যা অভিযোগ করছেন অর্জুন সিং। উনি নিজেই গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করছেন। নিজের বোমাতেই হয়তো নিজেই ঘায়েল হয়েছেন।”
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোন পথে যাচ্ছে তা এই ঘটনা থেকে আরও স্পষ্ট। ১০০ শতাংশ খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। গোটা বিষয় সম্পর্কে তিনি (Arjun Singh) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন অর্জুন সিং। একই সঙ্গে, লোক নিয়ে পথে নেমে আন্দোলন করার বার্তাও দিয়েছেন।