নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ধ্রুপদী জগতে বাংলার স্বীকৃতি। বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেল আমাদের মাতৃভাষা বাংলা (Bengali Language)। বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে এই সুখবর শোনানো হয়েছে। এদিন বাংলা-সহ আরও পাঁচটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমিয়া এবং বাংলা ভাষাকে এই বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হল। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ৬টি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হল ১১। বাংলা ভাষা এই বিশেষ সম্মান পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে এ খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখছেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে অবশেষে ভারত সরকার বাংলাকে (Bengali Language) একটি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে আমরা এর জন্য একাধিকবার দরবার করেছিলাম। কেন আমরা এই দাবি করেছিলাম তার সপক্ষে একাধিক গবেষণাপত্রও জমা দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সররকার এদিন সন্ধ্যায় আমাদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে। আমাদের গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কোনও ভাষাকে (Bengali Language) ধ্রুপদী হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে কেন্দ্র করে কর্মসসংস্থানে জোয়ার আসে। সেই ভাষার শিক্ষক-অধ্যাপক থেকে শুরু করে গবেষকরা কাজের নতুন নতুন সুযোগ পান। কোনও ভাষাকে ধ্রুপদী হিসেবে মান্যতা দেওয়া হলে সেই ভাষার পুরনো নথি সংরক্ষণের দরকার পড়ে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভাষা সংক্রান্ত পুরনো ও নতুন তথ্য সংগ্রহ করতে হয় । সেটিকে ডিজিটাইজেশনের কাজও করতে হয় । তা থেকেও প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে।
এতদিন পর্যন্ত বাংলা ভাষাকে (Bengali Language) ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া নিয়ে বহুদিন ধরে লড়ে চলেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাতার পর পাতা গবেষণার কাজ কেন্দ্রের দরবারে জমা দেওয়া হয়েছে। তা অনেকবার করে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। তার পরও বাংলার মতো সমৃদ্ধ, সৃষ্টিকর্মের ভাষা ধ্রুপদী জগতে ঠাঁই পায়নি। অনেকেই এনিয়ে বার বার মুখর হয়েছেন। এতেও বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ করা হয়েছে। তাই এবার সকলে বলছেন, ভাষার জন্য এতদিনকার লড়াই সার্থক হল অবশেষে।