নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার মতো এবার ভারতেও ছুটবে এয়ার ট্রেন। ২০২৭ সালের মধ্যে দিল্লি বিমান বন্দরে এই ট্রেন (Air train) চালুর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের ৷ ইতিমধ্যেই দুটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের ৷ বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১ এবং অন্যান্য দুটি টার্মিনালের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতেই এই উদ্য়োগ ডিআইএএল-এর৷
এয়ারট্রেনের বেশিরভাগ অংশই হয় মাটি থেকে উঁচু জায়গা দিয়ে যাবে। ৫.৭ কিলোমিটার উঁচু পথে এবং মাটিতে ২ কিলোমিটার থাকবে। নীচের অংশ টার্মিনাল ১-এর কাছে এবং এলিভেটেড ট্যাক্সিওয়ের নীচে থাকবে। কার্গো স্টেশনে একটি স্কাইওয়াক তৈরি করা হবে, যা এয়ার ট্রেনকে (Air train) কার্গো টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত করবে বলে জানা গিয়েছে। এই এয়ার ট্রেনের ৪টি স্টপেজ আছে। ভারতে প্রথম হলেও নিউইয়র্ক-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই ট্রেন চলে৷ এই ট্রেন বিশ্বের অনেক দেশের বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা প্রদান করছে। আর এখন ভারতেও শুরু হতে যাচ্ছে এই পরিষেবা।
দিল্লি বিমানবন্দরের এই প্রকল্পের জন্য একটি দরপত্র দেওয়া হয়েছে৷ আগামী মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শুরুর পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে ভারতে এরকম একটি এলিভেটেড ট্রেন (Air train) তৈরি করতে গড়ে খরচ হয় প্রতি কিলোমিটারে ২৫০-৩৩ কোটি টাকা। যখন ট্রেনটি মাটিতে তৈরি করা হয়, তখন প্রতি কিলোমিটারে ১৫০-২০০ কোটি টাকা খরচ হয়। ট্রেনটি মাটির নীচে নির্মিত হলে প্রতি কিলোমিটারে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ট্রেন, সিগন্যাল, ইলেক্ট্রিসিটি এবং অন্যান্য যাবতীয় কাজের খরচও রয়েছে। এই প্রকল্পের মোট খরচ হতে পারে ১৫০০ থেকে ১৬০০ কোটি টাকা।
বিমানবন্দের মধ্যে এয়ার ট্রেনগুলি সাধারণত বিনামূল্যে পরিষেবা দেয় যাত্রীদের। এই ট্রেনগুলি শুধুমাত্র টার্মিনালের মধ্যে চলে। এয়ার ট্রেন, অটোমেটেড পিপল মুভার (APM) নামেও পরিচিত। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ট্রেন ৷ যা বিমানবন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গার মধ্যে সংযোগ রাখতে পারে ৷ ট্রেনগুলি যাত্রীদের সুবিধার্থে বিদেশে অনেক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলাচল করে এই ট্রেন। এর মূল উদ্দেশ্য হল যাত্রীদের দ্রুত এবং সুবিধাজনকভাবে এক টার্মিনাল থেকে অন্য টার্মিনালে পরিবহণ করা।