নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু মাস কেটে গেল। এখন সুবিচার মেলেনি আরজি কর কাণ্ডের। তাই প্রতিবাদ এখনও অব্যাহত। ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় শনিবার রাত থেকেই আমরণ অনশন (RG Kar Update) শুরু করেন ছয় জুনিয়র ডাক্তার। রবিবার রাতে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরও এক জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাত। তিনি আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার। প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ তিনি। আসলে অনশনকারীদের তালিকায় কেন আরজি কর হাসপাতালের প্রতিনিধি নেই? সম্প্রতি সেই নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় অনশনে যোগ দেন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো।
শনিবার থেকে অনশনরত ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা এবং ক্যান্সার বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট স্নিগ্ধা হাজরা, এসএসকেএমের চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য এবং কেপিসি হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা। মোট ১০ দফা দাবি নিয়ে সরকারকে শনিবার সন্ধ্যা আটটা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই সময়সীমা শেষ হয়ে হওয়ার পরেই দাবি না মেটা পর্যন্ত ‘আমরণ’ অনশনে (RG Kar Update) বসার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে রবিবার ভিড় জমতে দেখা যায় বেশ কিছু সাধারণ মানুষেরও।
উল্লেখ্য, আর জি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলা। প্রায় দুমাস ধরে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘ টালবাহানার পর মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। ঘটনার ৪১ দিনের মাথায় প্রথম দফায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আংশিকভাবে কাজে ফেরেন। এই পরিস্থিতিতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি হয়। সেই রাতেই জিবি মিটিং করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানে দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতির (RG Kar Update) সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এর পর শুক্রবার এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল এবং ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধরনায় বসেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কাজে ফিরেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে দাবি পুরণে রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর তাঁদের দাবিপূরণ না হওয়ায় আমরণ অনশনে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এ প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, ”কারা অনশনে (Dharmatala) বসবেন, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ (RG Kar Update) কী হবে, সর্বসম্মত ভাবেই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্যান জিবিতে সকলে মিলে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে এদিন অনিকেত মাহাত বলেন, ‘‘সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনের অন্যতম বিষয় থ্রেট কালচার। আর তার বিরুদ্ধে লড়াই। আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি।’’