নিউজ ডেস্ক: জয়নগরকাণ্ডে (Jaynagar Update) এবার কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আগামীকাল কল্যাণী এইমসে এসিজেএম-এর উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পকসো আইনে মামলা রুজুর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
আজ কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘কল্যাণী এইমসে পরিকাঠামো না থাকলে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত। কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকরাই জেএনএম হাসপাতালে গিয়ে ময়নাতদন্ত করবেন। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক বা কর্মী ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ায় (Jaynagar Update) অংশ নিতে পারবেন না।’ মৃতদেহের চালান-সহ সবকিছু কল্যাণী এইমসের সুপারকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বেলা পৌনে ১২টার মধ্যে কল্যাণীতে মৃতদেহ পৌঁছনোর নির্দেশ হাইকোর্টের।
আসলে গত শুক্রবার রাতে জয়নগরের (Jaynagar Update) মোষমারিতে উদ্ধার হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ। টিউশন পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল সে। পরিবারের দাবি, ১০ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নাবালিকাকে খুনের এই ঘটনায় তিন মাসের মধ্যে বিচার করে অভিযুক্তের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে জয়নগরকাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। মমতা বলেন, ”বাংলায় দু-একটা ঘটনা ঘটে গেলে চিৎকার, হাহাকার করা হয়। করা উচিত, অধিকার আছে। তবে, অন্য জায়গায় ঘটলে মুখে লিউকোপ্লাস্টার থাকে। কেউ প্রতিবাদ করে না।’ এরপরেই তাঁর সংযোজন, ‘কুলতলির ঘটনাটাও পুলিশ পকসো কোর্টে তুলে ৩ মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার নিয়ে আসুক।”
অন্যদিকে, জয়নগরে (Jaynagar Update) নিহত বালিকার পরিবার ইতিমধ্যেই পুলিশে আস্থা নেই জানিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন এই ঘটনায়। ‘পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করেনি বলেই বাঁচানো যায়নি মেয়েকে। পুলিশের সহযোগিতা পেলে মেয়েটাকে বিসর্জন দিতে হত না। হাতেপায়ে ধরেও কাজ হয়নি। সাহায্যের পরিবর্তে আত্মীয় পরিজনদের মারধর করেছে পুলিশ’, বিস্ফোরক অভিযোগ জয়নগরের নিহত বালিকার মায়ের। ‘পুলিশ নয় সিবিআই তদন্ত করুক, আর জি কর কাণ্ডের মতোই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে পুলিশ’, বিস্ফোরক অভিযোগ জয়নগরের নিহত বালিকার দিদিমার।