নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শিয়ালদা আদালতে সোমবার প্রথম চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। তদন্তভার হাতে পাওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট দিল সিবিআই (CBI)। চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই তরুণী চিকিৎসককে মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সপক্ষে একাধিক নথিও আদালতে দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে পুজোর মুখে কোর্টে সিবিআইয়ের চার্জশিট দেওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারি ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ। ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ সিভিক পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণের পর মূল মামলায় সিবিআই আর কাউকে গ্রেফতার করেনি। তবে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সঞ্জয় ছাড়াও আরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়ারা এবং নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছিল। তবে আদালত সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের দাখিল করা চার্জশিটে ২০০ জনের বয়ানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মূল অভিযুক্ত হিসেবে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র সঞ্জয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই সঞ্জয়কে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এটাই চূড়ান্ত চার্জশিট নয়। সেক্ষেত্রে নতুন করে কারও নাম উঠে এলে তা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে যুক্ত করা হবে। এছাড়াও তথ্য প্রমাণ লোপাটে যড়যন্ত্র করার অভিযোগ ওঠে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই দু’জনকেও পরবর্তীতে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে এই দুই অভিযুক্তের কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুরুতেই এ মামলার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় রায় নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যদিও শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এবার তদন্তভার হাতে নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় শিয়ালদা কোর্টে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই।