নিউজ ডেস্ক: পঞ্চমীর বিকেলে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor Protest) ডাকা ‘মহামিছিলে’র অনুমতি দিল না পুলিশ। পুজোয় ভিড়ে যানজটের কারণ দেখিয়ে ‘মহামিছিলে’র আবেদন খারিজ। একইসঙ্গে ধর্মতলা চত্বরে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার কথাও মনে করাল পুলিশ।
আরজি কর কাণ্ডের দু মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও আন্দোলনের আঁচ এতটুকুও ফিকে হয়নি। সে কারনেই পঞ্চমীর বিকেলে আরজি কর ইস্যুতে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা৷ বিকেল সাড়ে চারটে থেকে সেই মিছিল (Junior Doctor Protest) শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মহাপঞ্চমীর বিকেলে কলকাতা শহরে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা থেকেই ‘মহামিছিলে’র আবেদন খারিজ করল পুলিশ।
আরজি কর আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন। রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন বিকেলে ফের ‘মহামিছিলে’র ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিছিলের রুটে রয়েছে কলেজ স্কোয়ার ও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মতো দুটি বড় পুজো। তীব্র যানজটের কারণে আইনশৃঙ্খলায় সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই ‘মহামিছিলে’র (Junior Doctor Protest) আবেদন খারিজ করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে পুলিশ মিছিলে অনুমতি না দিলেও মিছিলের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে পুলিশের সাহায্যে চেয়ে পাল্টা মেল করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ওই মেলে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ‘মেডিক্যাল কলেজের গেট থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত হবে মিছিল।’ তবে শেষ মেষ এই মিছিল আদেও হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা জায়নি।
বর্তমানে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ৭ জন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজে ২ জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন (Junior Doctor Protest) নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে এই পরিস্থিতিতে সব জুনিয়র ডাক্তারকে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্য়সচিব। গতকাল তিনি বলেন, “এই অনুরোধটাই আমি করছি, তাঁদের কাজে যোগ দেওয়া উচিত। তাঁদের অধিকাংশই কাজে যোগ দিয়েছেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, কাজে ফেরার জন্য। মানুষকে পরিষেবা দিন।”