নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর প্রথম বড় দু’টি বিধানসভা নির্বাচনের আজ ফলপ্রকাশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচনের ভোটগণনা (Assembly Election Counting)। বুথফেরত সমীক্ষা যদিও বহু সময়েই ভুল প্রমাণিত হয়েছে তাও সব কটি এগজিট পোলেই হরিয়ানায় কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ১০ বছর পরে ক্ষমতায় ফিরবে। ভূস্বর্গেও সমীক্ষকরা এগিয়ে রেখেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোটকেই। তাই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলের নজর হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনের ফলাফলের দিকে।
দীর্ঘ ১০ বছর পরে কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। এখানে লড়াই মূলত ত্রিমুখী — কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট, বিজেপি এবং পিডিপির মধ্যে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের পর প্রথম বিধানসভা ভোটে কারা করবে বাজিমাত সেদিকে তাকিয়ে কাশ্মীরবাসী। অন্যদিকে, হরিয়ানার ৯০টি আসনেই ভোট হয়েছিল গত ৫ অক্টোবর। এই বিধানসভায় মূল লড়াই গত এক দশকের শাসকদল বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে। এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে আইএনএলডি এবং জেজেপি। এক দশকের বিজেপি শাসনের পর হরিয়ানা বিধানসভায় (Assembly Election Counting) কি ফিরতে পারবে কংগ্রেস? সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গণনা।
তবে বেলা গড়াতেই হরিয়ানায় পিছিয়ে পড়তেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল কংগ্রেস। উত্তর ভারতের রাজ্যে বিজেপির কামব্যাকের মধ্যেই কংগ্রেস নেতারা দাবি করলেন যে নিজেদের ওয়েবসাইটে হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল (Assembly Election Counting) আপডেট করছে না নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘক্ষণ ধরে একই পরিসংখ্যান দেখিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতারা। ইতিমধ্যে কমিশনের কাছে নালিশ ঠোকা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কমিশনের তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, কংগ্রেস যখন এরকম অভিযোগ করছে, তখন এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে হরিয়ানায় পদ্মফুলই ফুটছে। হারছে কংগ্রেস। যদিও চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে আর কিছুক্ষনেই।