নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের জের। দুমাস পেরিয়ে গেলেও মেলেনি সুবিচার। তাই তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে দশ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় চলছে বিক্ষোভ। অনশন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে এখনও সাড়া দেয়নি সরকার। এই প্রতিবাদের মাঝেই এবার আরজি কর হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক একসঙ্গে গণ ইস্তফা দিলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে ইস্তফা দিলেন সিনিয়ররা।
জুনিয়র ডাক্তারদের যে দাবি, সেই দাবির সমর্থনে অর্থাৎ দ্রুত হাসপাতালে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার ব্যবস্থা করা, প্রেসিডেন্ট ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনকে স্বীকৃতি দেওয়া, নিরপেক্ষ ছাত্র সংসদ ভোট করা, হুমকি সংস্কৃতির অবসান ঘটানো। প্রায় ৫০ জনের মতো অধ্যাপক মঙ্গলবার গণইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, এদিন দুপুরেই কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের একাধিক ডাক্তার ইস্তফা দিতে পারেন। এর মধ্যে বিভাগীয় প্রধানরাও রয়েছেন বলে খবর। জুনিয়রদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে এসএসকেএম, এনআরএস-সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাও একই পথে হাঁটতে পারেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার পর থেকেই নিজেদের সুরক্ষার দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন ডাক্তাররা। কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ, করতে থাকেন একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হলেও পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগীর পরিজনদের দ্বারা আক্রান্ত হন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। এরপর আন্দোলন আরও জোরাল হতে শুরু করে। বর্তমানে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থানে বসেছেন সাত জুনিয়র ডাক্তার। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার অনশনে সামিল হয়েছেন। এই আবহে সিনিয়র চিকিৎসকদের এই পদক্ষেপ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে এতজন চিকিৎসক একসঙ্গে গণ ইস্তফা দিলে হাসপাতাল কীভাবে চলবে? আদৌ কি এভাবে ইস্তফা দেওয়া সম্ভব? বিষয়টিকে প্রতীকী প্রতিবাদ বলাই যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতেই প্রতিবাদের এই ঢেউ আছড়ে পড়ল বলাই যায়। দেখা যাচ্ছে, যত বেশি এই আমরণ অনশনের আন্দোলনকে কটাক্ষ করা হচ্ছে, তত বেশি যেন তা চিকিৎসকদের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করছে। অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। তার ফলই এই গণইস্তফা।