নিউজ ডেস্ক: অবশেষে এল সেই দিন। ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে সম্মানিত হলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মিঠুন। নাম ঘোষণা হয়েছিল আগেই। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে জানান সিনেমায় অনন্য অবদানের জন্য ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার ছিল সেই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিজ্ঞান ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, নিজের হাতে করে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পীদের হাতে। এদিন তাঁর ওপর তৈরি ‘শো-রিল’ দেখতে গিয়ে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মিঠুন চক্রবর্তী। ক্যামেরায় ধরা পড়ল, তাঁর (Mithun Chakraborty) আবেগঘন মুহূর্ত।
হাতে পেয়েছেন চোট, ভেঙেছে হাড়। তা সত্ত্বেও সশরীরে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। বয়সের ভারও শরীরে স্পষ্ট। কোনও রকমে উঠে দাঁড়িয়ে এগিয়ে গেলেন মঞ্চের দিকে। যদিও তাঁর (Mithun Chakraborty) স্পিরিট দেখার মতো, এখনও শেখার মতো। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে গ্রহণ করলেন তাঁর পুরস্কার। নিয়ম মতো পোজ দিলেন ছবির জন্য।
এদিন মঞ্চে তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাগলের সেই দিনগুলো। ত্বকের রং কালো হওয়ায় একটা সময় প্রচুর অপমানের সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিনেতাকে। সেই মুহূর্তগুলো কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন বলেই তিনি মনে করেন এই সম্মানের মঞ্চে দাঁড়াতে পেরেছেন। মানুষ ভালোবেসেছেন তাঁকে। অভিনেতার কথায়, ‘প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর আমারও (Mithun Chakraborty) মাথা ঘুরে গিয়েছিল। খালি মনে হতো খুব বড় কিছু হয়তো কিছু করে ফেলেছি। নিজেকে আল পাচিনো ভাবতে শুরু করেছিলাম। ছবির জন্য কথা বলতে গিয়ে নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করতাম। একদিন এক প্রযোজক আমায় ভাগিয়ে দিয়েছিল এইসব হাবভাব দেখে। সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম কত বড় ভুল করছি।’
কেবল বাংলা বা হিন্দি নয়, একাধিক ভাষায় মহাগুরুর (Mithun Chakraborty) কাজ, বছরের পর বছর ধরে মানুষের মন জয় করেছে। তাঁর নাচ হোক, বা কমিক টাইমিং, বা অ্যাকশন দৃশ্য, প্রত্যেকবারই ছক্কা হাঁকিয়েছেন অভিনেতা। অন্যান্য দেশের সম্মানও পেয়েছেন ভরপুর। সমস্তই ধরা রইল টুকরো মুহূর্তে, শো-রিলে।