নিউজ ডেস্ক: আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যালের পর এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও গণ-ইস্তফা । জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গণ-ইস্তফা দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র চিকিৎসকরা। এখনও পর্যন্ত এখানকার ১৫ জন চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন। সংখ্যাটা আরও বাড়বে। অনেকে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে রয়েছেন। তাঁরা আসছেন। অনশনস্থলে এসে সই করছেন। তাই, সংখ্যাটা সারাদিনে আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররাও এমন পদক্ষেপের চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। যদিও ইস্তফা দিয়ে তাঁরা কাজই ছেড়ে দিচ্ছেন এমনটা নয়। ‘গণইস্তফা’ দেওয়া একাধিক সিনিয়র ডাক্তাররা বলছেন, কোনও পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে না। তাঁরা ইস্তফা দিয়ে কোথাও চলেও যাচ্ছেন না। এটা একটা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ধরা যায়। তবে তাঁদের একটাই দাবি, জুনিয়র ডাক্তাররা যা চাইছেন তা যেন সরকার দ্রুত মেনে নেয়। তাহলেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত হবে এবং সকলের ভাল হবে।
প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডের সঠিক বিচার ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ একগুচ্ছ দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা দু’মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতেও রাজ্য সরকারের তরফে সাড়া মেলেনি। সেই দাবি পূরণের জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দুই জুনিয়র ডাক্তার অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেন। বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ গোস্বামীর হাতে প্রথম পর্বে ৩০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তাফাপত্র তুলে দেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফোরামের অন্যতম সদস্য উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনশনে যে জুনিয়র ডাক্তাররা বসেছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে। তাঁদের জীবন বাঁচাতে এবং রাজ্য সরকার নমনীয় হয়ে যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি পূরণ করে, তার বার্তা দিতে এই গণ ইস্তাফা (Senior Doctor) দিয়েছি।”
এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার বলেন, “রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। অপরাধ ও অপরাধীদের আড়াল করতে বেশি ব্যস্ত রাজ্য সরকার। অনশনে বসা জুনিয়র ডাক্তারদের জীবনের কথা কেন ভাবছে না সরকার? এতেই বোঝা যায় আরজি করকাণ্ডকে রাজ্য সরকার ধামাচাপা দিতে চাইছে। “