নিউজ ডেস্ক: তিথি মেনে নবমীতেই দশমীতে পা। রীতিমেনে হয়েছে দশমীর পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর সম্পন্ন প্রতিমা বিসর্জন। অনেক বনেদি বাড়িতেই দর্পণে প্রতিমা বিসর্জনও হয়ে গেছে। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর ঘরের মেয়ে উমা কৈলাসে ফিরে যাওয়ার আগে শিব-ঘরণীকে বরণ করে নিয়েছেন মেয়ে-বউরা। আর বিসর্জনের পাশপাশি মাকে ছোঁয়ানো সেই সিঁদুর দিয়ে একে অপরের সঙ্গে সিঁদুরখেলায় মেতে উঠেছে মহিলারা। আসলে দশমীতে সিঁদুরখেলা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের কীর্ণাহার, পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে মহিলারা মেতে উঠছেন সিঁদুর খেলায়। কাঁকসা, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি এবং মালদাতেও চলেছে সিঁদুরখেলা। একই ছবি দেখা গিয়েছে মহিষাদল রাজবাড়িতেও। এবার এই পুজো আড়াইশো বছরে পা দিয়েছে। রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই এদিন উমার বিসর্জনের আবহে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন এলাকার লোকজনও।
কিন্তু যখন মা কে বিদায় বেলায় বরণ করতে ব্যস্ত সবাই তখন নিরঞ্জনের আবহে দেখা গেল প্রতিবাদের ছবি। এদিন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সিঁদুর খেলায় প্রতীকী ছবি হাতে এক নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে জাস্টিস চাইলেন রানিমা অমৃতা রায়। দিলেন উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান।
আসলে সম্প্রতি কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একজন তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরে সারা দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। ঘটনার দুমাস পেড়িয়ে গেলেও সাধারন মানুষ ভোলেনি তিলোত্তমাকে। তাই এই ঘটনার সুবিচারের আশায় ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মায়ের বিদায় বেলাতেও জাস্টিস চাইলেন কৃষ্ণনগরের রানিমা। তবে শুধু দশমীতেই এমন দৃশ্য দেখা গেল তেমনটা নয়। এর আগেও পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে অনেক প্যান্ডেলেই উঠেছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান।
প্রসঙ্গত, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে। কলকাতা পুলিশই প্রথমে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। এরপর সেই সঞ্জয়কে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। তাই মায়ের বিদায় বেলায় সকলের আর্জি একটাই, তিলোত্তমার ধর্ষণ ও হত্যার যেন যত দ্রুত সম্ভব সুবিচার হয়, এবং দোষীর যেন কঠিনতম শাস্তি হয়।