নিউজ ডেস্ক: এবার আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ালেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। সরকারি হাসপাতালের পরে এবার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালেও কর্মবিরতির ঘোষণা চিকিৎসকদের। সোমবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
মেডিকায় নন ইমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে ফর্টিস, কোঠারি, উডল্যান্ড-সহ ৩০টিরও বেশি বেসরকারি হাসপাতালে আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। জরুরি অবস্থায় কোনও রোগী এলে অবশ্যই চিকিৎসা করা হবে, ঘোষণা বেসরকারি চিকিৎসকদের, ডোরিনা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন চিকিৎসকরা। তবে এই সময়ে জরুরী পরিষেবা বন্ধ না থাকলেও ব্যক্তিগত চেম্বারও বন্ধ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তবে প্রতীকী কর্মবিরতিতেও কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পাশাপাশি চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি, পদক্ষেপ না করা হলে টানা কর্মবিরতি চলবে। এতে শামিল হওয়ার জন্য রাজ্যের সব চিকিৎসককে আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য় আংশিক কর্মবিরতি চলছে ফর্টিসে। ফর্টিস হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য় আংশিক কর্মবিরতিতে যাচ্ছে তারা। সোম ও মঙ্গলবার পেনডাউন করা হবে পিয়ারলেস হাসপাতালে। আগামী বুধবার অবধি নন-ইমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ১১২ জন চিকিৎসক। এর আগে আংশিক কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল, মনিপাল হাসপাতাল, আর এন টেগোর হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ।
অন্যদিকে গত কয়েকদিনে একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা ‘গণইস্তফা’ দিয়েছেন। এবার এই ইস্যুতে (RG Kar Hospital Doctor Protest) কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (West Bengal CM) মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শনিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সরকারের কাছে গণইস্তফা কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। আরজি কর হাসপাতাল সহ একাধিক সরকারি হাসপাতাল থেকে গতকয়েকদিনে একাধিক সিনিয়র ইস্তফা দেন। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গণ ইওস্তফার কথা প্রতিটি ক্ষেত্রে উল্লেখ রয়েছে। এক্ষেত্রে সার্ভিস রুলের কথা মনে করিয়ে দেন। জানান, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে দিতে হয়। সার্ভিস রুলে এমনটাই উল্লেখ। ফলে পদত্যাগ হিসাবে গণইস্তফা কোনও ভাবে গ্রাহ্য হবে না বলেও এদিন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য এই উপদেষ্টা।