নিউজ ডেস্ক: আজ নজরে রেড রোড। প্রতি বছরের মত এবছরেও রাজ্য সরকার আয়োজিত দুর্গাপূজার কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রা। তার প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে সেই কার্নিভাল।কার্নিভালকে ঘিরে প্রতিবারই আগ্রহ তুঙ্গে থাকে, এবারও তাই। গত কয়েক বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের সরকার এই পুজোর কার্নিভালের আয়োজন করে আসছে রাজ্য সরকার।
এ বছর জমিদার বাড়ির অলিন্দের আদলে তৈরি হয়েছে মূল মণ্ডপ। সেই মঞ্চেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন কয়েক হাজার অতিথি। রাজ্য তথা দেশের বিশিষ্ট অতিথি ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বিদেশি অতিথিরাও। ইতিমধ্যেই ২০ হাজার আমন্ত্রণপত্র শেষ হয়েছে। জার্মানি, পেরু, ইকুয়েডর, বেলজিয়াম, স্লোভেনিয়া, সাইপ্রাস ও আয়ারল্যান্ডের উপদূতাবাসে কার্নিভালের আমন্ত্রণপত্র গিয়েছে। বড় বড় এলিডি এর মাধ্যমে দর্শকদের পুজোর কার্নিভাল দেখার সুযোগও থাকছে। কলকাতার একাধিক পুজো কমিটি মঙ্গলবার এই কার্নিভালে অংশ নেবে, থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বিসর্জনের শোভাযাত্রা সহযোগে কার্নিভালের মাধ্যমে গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব হবে একে একে।
কার্নিভালের শুরুতেই হবে উদ্বোধনী নৃত্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা এবং সুরে গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করবেন শিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর প্রতিষ্ঠান দীক্ষামঞ্জরীর সদস্যরা। তারপরই শুরু হবে কার্নিভাল। একে একে এগিয়ে যাবে শহরের সেরা প্রতিমাগুলি। বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে সম্মানিত ১০৫টি পুজো কমিটির মধ্যে ৮৯টি পুজো কমিটি এবার কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে। পুজোর বিশেষত্ব তুলে ধরার জন্য প্রত্যেক পুজো কমিটিকে তিন মিনিট করে সময় দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেই কার্নিভালের দিন ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন,পুজোর পর কলকাতায় কার্নিভাল হবে ১৫ অক্টোবর। আর পুজো কমিটিগুলিকে ১৩, ১৪, ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।
গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই দুর্গা পূজার পর্ব শেষ হয়। তবে এবার পরিস্থিতি একটু আলাদা। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও শহর জুড়ে প্রতিবাদের সুর। আজ, মঙ্গলবারও পথে নেমে প্রতিবাদ জানাবেন চিকিৎসকেরা। দ্রোহ কার্নিভালের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরাও।