নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার কলকাতায় পুজো কার্নিভাল। আর এদিনই দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি না করার আর্জি জানান। তবে চিকিৎসকরা তাঁদের অবস্থানে অনড়। তাই দ্রোহের কার্নিভালের আগেই কলকাতার একাধিক জায়গায় জারি করা হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা।
আজ একদিকে রেড রোডে যেমন চলবে পুজো কার্নিভাল তেমনই রানিরাসমণি রোডে চলবে চিকিৎসদের ঘোষিত দ্রোহের কার্নিভাল। আর ধর্মতলায় মানব বন্ধন জুনিয়র চিকিৎসকদের। এই প্রেক্ষাপটে সোমবার রাতে লালবাজারে তরফে বিজ্ঞপ্তি দিতে জারি করা হল ১৬৩ ধারা। জানা গিয়েছে, রানি রাসমণি রোড সংলগ্ন একাধিক রাস্তায়, ধর্মতলা মোড় থেকে একদিকে ডোরিনা ক্রসিং এবং অন্যদিকে লেনিন সরণির সংযোগস্থল সহ একাধিক রাস্তায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই মর্মে কলকাতার পুলিশের নগরপাল মনোজ ভর্মার স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট এলাকায় একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি কেউ একত্রিত হতে পারবেন না। সেখানে লেখা আছে যে, কেউ সেখানে লাঠি বা কোনও অস্ত্র নিয়েও ঘোরা ফেরা করতে পারবে না। কলকাতা পুলিশ এই ১৬৩ ধারা জারি করায় রানি রাসমণি রোড, ওয়াই চ্যানেল, নিউ রোড, মেয়ো রোড, আউটরাম রোড, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে, জওহরলাল নেহরু রোডে, কুইনস্ ওয়ে, স্ট্র্যান্ড রোডে কোনও রকম জমায়েত, বিক্ষোভ, ধর্না, মিছিল, সভা করা যাবে না ৷ এর পাশাপাশি, এই ১৬৩ ধারা জারি থাকা এলাকায় কোনও ধরনের মিছিল, সভা, ধর্না, জমায়েত বা বিক্ষোভও প্রদর্শন করা যাবে না।
এই পরিস্থিতিতে কীভাবে কর্মসূচি পালন করবেন চিকিৎসকরা, কীভাবেই বা হবে মানববন্ধন, আর একাধিক রাস্তা বন্ধ থাকার ফলে শহরে যান চলাচলও কীভাবে প্রভাবিত হবে, সেটাই দেখার। শেষমুহূর্তে কার্নিভাল সংঘাত নতুন কোনও মোড় নেয় কি না, সেদিকেই সবার নজর।
উল্লেখ্য, সোমবার থেকে দেখা যাচ্ছে, রানি রাসমণি রোডে একাধিক খালি বাস দাঁড়িয়ে আছে। অভিযোগ, রাস্তা অবরুদ্ধ করে দেওয়ার জন্যই বাসগুলি দাঁড় করিয়ে রেখেছে পুলিশ। একদিকে যখন রেড রোডে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, অন্যদিকে তখন রানি রাসমণি রোডে বড় বড় ব্যারিকেড এনে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে রাস্তার ধারে। সকাল থেকেই রাস্তার ধারে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।