নিউজ ডেস্ক: এবছর পুজোর অন্যতম বড় রিলিজ ছিল দেব-সৃজিত জুটির প্রথম ছবি টেক্কা। প্রথমদিন থেকেই হল ভরিয়েছে দেবের ফ্যানেরা। পুজোর চারদিনে প্রায় দুকোটি টাকার ব্যবসা করল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ও দেব অভিনীত এই সাসপেন্স থ্রিলার। পুজোর মরশুমে প্রায় সব শো হাউসফুল। সপ্তমীর পর থেকে দেখা গিয়েছে, গোটা বাংলা জুড়ে প্রায় একশোটির উপর শো হাউসফুল। অ্যাডভান্স বুকিংয়েও এগিয়ে রয়েছে এই ছবি।
দেবের প্রযোজনায় এই প্রথম ছবি বানালেন সৃজিত। প্রথম থেকে প্রযোজক দেবে মুগ্ধ পরিচালক। থ্রিলারের শেষে রয়েছে সৃজিতীয় চমক। আর সেখানেই ঢাকা পড়ে গিয়েছে অনেক খামতিই। এই ছবিতে দেব একেবারে নতুন মোড়কে হাজির।কী এক্সপ্রেশন! কী স্পষ্ট উচ্চারণ! এক কথায় অনবদ্য। আর এই বছরটা রুক্মিণী মৈত্রর। আলাদা আলাদা চরিত্রে তিনি সত্যিই অনবদ্য। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বরাবরের মতোই নজরকাড়া। সব মিলিয়ে পুজোর বক্স অফিসে ছক্কা হাকালো টেক্কা।
‘টেক্কা’য় দেব-রুক্মিণী মৈত্রর টানটান অভিনয় বড় প্রাপ্তি। সঙ্গে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের কথা অবশ্যই বলতে হবে। তিনি একজন সিঙ্গল মাদারের চরিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সব থেকে ভালো লাগে, চরিত্রগুলোর অনেক ডাইমেনশন আছে। এক, গতানুগতিকভাবে বুনে দেওয়া হয়নি। আর এই ধরনের কমপ্লেক্স ক্যারেক্টর খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রী।
এই সিনেমায় দেব ওরফে ইকলাখের চণ্ডালের মতো রাগ। আর এই রাগ, মেজাজের জন্যই কাজ হারায় সে। অন্যদিকে তাঁর ছেলেকেও স্কুল থেকে মাইনে না দিতে পারার কারণে বহিষ্কার করা হয়। আর নিজের চাকরি ফিরে পেতে দেব একটি স্কুলের বাইরে থেকে অপহরণ করে স্বস্তিকা ওরফে ইরার মেয়েকে। পুলিশকে তিনি জানান তিনি যে অফিসে সাফাইকর্মীর কাজ করতেন, সেখানকার মালিককে এসেই তাঁকে চাকরি ফেরত দিতে হবে। সেখানেই পুলিশ হিসেবে কেসের দায়িত্ব নেয় রুক্মিণী মৈত্র ওরফে মায়া। ঘটনাক্রমে জড়িয়ে যান দেবদান আরিয়ান ভৌমিক এবং সৃজা দত্ত ওরফে বৃষ্টিও। বাকিটা তো সিনেমা হলে গিয়েই দেখতে হবে।