নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। দুর্গা পুজোর দশমী পেরোলেই শুরু হয়ে যায় মা লক্ষ্মীকে আবাহনের প্রস্তুতি। তবে এবারের দুর্গা পুজোর মতোই লক্ষ্মী পুজোতেও দেখা দিয়েছে সংশয়। দুর্গা পুজোর সময় ঠিক কখন অষ্টমী ও নবমী পড়ছে, তাই নিয়ে যেমন সংশয় তৈরি হয়েছিল তেমনি আর লক্ষ্মী পুজোয় পূর্ণিমা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। পূর্ণিমা তিথি কখন থেকে শুরু হচ্ছে, আর কখন শেষ হচ্ছে, সেই নিয়েই মূল সংশয়।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, বুধবার সন্ধে ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড গতে পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড গতে পূর্ণিমা তিথি শেষ। যাঁরা গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করবেন, তাঁরা এই সময়েই পুজো করতে পারবেন। আবার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, বুধবার রাত ৮টা ৪১ মিনিট গতে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি শুরু। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শেষ। তাই এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করতে পারেন।
প্রতি বছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। নাম, ধন, যশ ও খ্যাতি প্রাপ্তির জন্য পূর্ববঙ্গবাসী কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সূচনা করলেও আজ অনেকের বাড়িতেই এই পুজো হয়। অনেক বারোয়ারী কমিটিও এই পুজোর করেন। কথিত আছে, কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে যে জেগে থাকেন এবং পাশাখেলা করেন তাঁকে মা লক্ষ্মী ধনসম্পত্তি দান করেন। তাই ভক্তিপূর্ণ চিত্তে লক্ষ্মীপুজো করার পরে প্রথমে বালক, বৃদ্ধ ও শিশুদের খাবার খাওয়াতে হয়। আজও ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে পাওয়ার জন্য গৃহস্থেরা সারারাত ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন বাংলার প্রতিটি ঘর মুখরিত হয়ে ওঠে শঙ্খধ্বনিতে। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে কৃষি সমাজ। তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আলপনা। এই পুজো হয় মূলত প্রতিমা, সরা, নবপত্রিকা কিংবা থোড়ের তৈরি নৌকোয়। লক্ষ্মীর সরাও হয় নানারকমের। অঞ্চলভেদে লক্ষ্মীর সরায় তিন, পাঁচ, সাতটি পুতুল আঁকা হয়। তাতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া বিজয়া-সহ রাধা কৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি।