নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমশ বাড়ছে। ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। মঙ্গলবার তাঁদের অনশনমঞ্চে যোগ দিলেন আরও দুই জন। যে নতুন দু’জন অনশনে যোগ দিলেন তাঁরা হলেন স্পন্দন চৌধুরী এবং রুমেলিকা কুমার। রুমেলিকা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিনের জুনিয়র ডাক্তার। স্পন্দন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার। অনশনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “আজ আমাদের আন্দোলনের ৬৫-৬৬ দিন হয়েছে। দাদা-দিদিরা অনশন করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ সবাইকে বলছি আমাদের আন্দোলন চলবে।” রুমেলিকা বলেন, “আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
জানা গিয়েছে, ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন (Hunger Strike) শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। স্নিগ্ধা ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন তনয়া পাঁজা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। রবিবার অনশনে যোগ দিয়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctor) অনিকেত মাহাতও। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অনিকেত, অনুষ্টুপ, পুলস্ত্য এবং তনয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আরজি কর, নীলরতন সরকার এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। ঘ
টনাচক্রে, অনশনকারীদের মধ্যে আরজি করের কেউ রইলেন না। গত ১১ অক্টোবর রাতে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে আরও দুই জন যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা হলেন পরিচয় পণ্ডা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই। আর মঙ্গলবার সেই তালিকা আরও বাড়ল। অন্যদিকে আমরণ অনশনের এগারোতম দিনে, অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও এক আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার। উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজের ওই জুনিয়র ডাক্তারের নাম, শৌভিক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ইতিমধ্যেই তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে আইসিসিইউতে। প্রায় ২২২ ঘণ্টা অনশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। অনশনমঞ্চেই পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয় সৌভিকের। তার পরই তাকে আইসিইউয়ে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, সৌভিকের রক্তচাপ এবং হৃৎস্পন্দন অনিয়ন্ত্রিত। জানা গিয়েছে, সৌভিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় গত ৬ অক্টোবর থেকে। সোমবার মেডিক্যাল টিম তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল। তাতে জানা যায়, রক্তচাপ নামছে সৌভিকের। তার পরেও অনশন চালিয়ে যান তিনি। এর আগে অনশনরত অলোক বর্মাকেও হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।