নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ৪০ বছর পার হচ্ছে কলকাতা মেট্রোর। গত চার দশকে শুধু যে শহরের লাইফ লাইনের পরিসর বেড়েছে তা-ই নয়, রেক থেকে টিকিট —আমূল বিবর্তন হয়েছে প্রায় সব কিছুরই। সেই বিবর্তন এবার দেখার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে শহরের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে পরিচিত কলকাতা মেট্রো সম্পর্কে অবাক করা বহু তথ্য নিয়ে এক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে চলেছেন মেট্রোর কর্তারা।
তবে সেই প্রদর্শনীর একটা বড় অংশই নানা ধরনের বিচিত্র সামগ্রীর সংগ্রাহক সৌভিক রায়ের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে ধার করা। জানা গিয়েছে, ১৯ অক্টোবর থেকে এক সপ্তাহ ধরে মেট্রোর এই বিবর্তন সংক্রান্ত প্রদর্শনীটি চলবে। সেই প্রদর্শনীই শহরের এই ‘বিচিত্র’ সংগ্রাহকের অভিনব সংগ্রহকে জনসমক্ষে এনে দিতে চলেছে।
ভারতীয় রেলের স্টেশনে স্টেশনে তখনও শুরু হয়নি ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারের রমরমা। কয়েক বছর আগের সেই দিনগুলোয় বিভিন্ন স্টেশনের বুকিং কাউন্টার থেকে ইস্যু করা হতো হলদে পিচবোর্ডের টিকিট। শুধু সাধারণ ট্রেন নয়, এমন টিকিট ইস্যু করেছিল কলকাতা মেট্রোও।
সৌভিকবাবুর বয়স তখন ১০ বছর। পরের ৫০ বছরে তাঁর আগ্রহের তালিকায় যোগ হয়েছে বহু কিছু। সেই মতো বেড়েছে সংগ্রহ করা বস্তুর তালিকাও। গত কয়েক বছর কলকাতা মেট্রোই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর ভবানীপুর ও এসপ্ল্যানেডের মধ্যে কলকাতা মেট্রোর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০২৪-এর অক্টোবরে এসে যা মেট্রো কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত পাড়ি দিচ্ছে। এর পাশাপাশি মেট্রো চলছে আরও তিনটি রুটে। নতুন আরও একাধিক রুট যাত্রী পরিবহণের দিন গুনছে। তবে মেট্রোর সবচেয়ে নজরকাড়া বিবর্তন হয়েছে টিকিটের ক্ষেত্রে। বিশেষ প্রদর্শনীতে টিকিটের ওই বিবর্তন-ই তুলে ধরবেন সৌভিক রায়।
এ প্রসঙ্গে সৌভিক বাবু জানিয়েছেন, ‘প্রথম দিনের টিকিট থেকে শুরু করে প্রথম স্মার্ট কার্ড — সবই আমার সংগ্রহে রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে আরও এমন কিছু যা খুব কম মানুষই মনে রেখেছেন।’ এই তালিকায় পড়বে মেট্রোর ইস্যু করা ‘কুপন টিকিট’। থাকবে বিধায়কদের মেট্রোয় যাতায়াত করার জন্য ইস্যু করা স্পেশাল এমএলএ পাসও। ১৯৭০-এর দশকে মহানগরের রাস্তাঘাটে যখন মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য একেবারে দফারফা অবস্থা, সেই সময়ে শহরবাসীর উদ্দেশে মেট্রো কর্তৃপক্ষ যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল, সেই দুর্লভ বিজ্ঞপ্তিও রয়েছে সৌভিকবাবুর সংগ্রহে।