নিউজ ডেস্ক: ৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। তবে আপাতত একাধিক নিয়ম মেনে চলতে হবে তাঁকে। অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাঃ সোমা মুখোপাধ্যায় জানালেন, নির্দিষ্ট সময় পর অনিকেতের প্রেসার মাপতে হবে। খেতে হবে জল।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো৷ বিভিন্ন কর্মসূচিতে যাঁদের আন্দোলনের অগ্রভাগে দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম৷ আরজি কর-কাণ্ডের ন্যায়বিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনও শুরু করেছিলেন তিনি৷ তবে 11 অক্টোবর তাঁকে ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অ্যাম্বুলান্সে করে আরজি কর হাসপাতালের সিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। প্রথমে সিসিইউয়ে রাখা হয়েছিল অনিকেতকে। পরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে ৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। বর্তমানে অনিকেতের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সেই কারণে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ চলতে থাকবে। উপোস না করার জন্যও অনিকেতকে পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তারেরা।
এদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অনিকেত বলেন, “ডাক্তারেরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শগুলি আমি মেনে চলব। আন্দোলনের পাশে আমি রয়েছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বাকি বিষয়গুলিতে সিদ্ধান্ত নেব।”
প্রসঙ্গত, এর আগে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য, তনয়া পাঁজা। তবে এই মুহূর্তে তাঁদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে খবর। তবে বর্তমানে অনশনরত বাকি জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থাও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে নতুন করে অনশনে যোগ দিয়েছেন আরও দুই জুনিয়র চিকিৎসক। তাঁরা হলেন, রুমেলিকা কুমার এবং স্পন্দন চৌধুরী। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনের পথ থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই।