নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে বোমাতঙ্ক ছড়ানোয় তৎপরতার সঙ্গে অবতরণ করতে হচ্ছে, এমন ঘটনা নতুন নয়। তবে সম্প্রতি ভারতের একাধিক বিমানবন্দরে এভাবে বিমান অবতরণ করতে দেখা গিয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় বারবার হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে বোমাতঙ্কের ভুয়ো মেসেজের সংখ্যা ৩৪। তাই এবার বোমাতঙ্ক ছড়ানোর শাস্তি হিসেবে কড়া নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিমানে (Flights) বোমাতঙ্ক ছড়ালে আজীবন বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে এবার এই বিষয়ে আইন সংশোধনীর পথে হাঁটছে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। আইনে নতুন শাস্তির রূপরেখা ঠিক কী হবে, তা ঠিক করতে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, আইন মন্ত্রক এবং অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এতদিন পর্যন্ত বিমানের অভ্যন্তরে অভব্য আচরণ এবং বিমানে থাকাকালীন বোমাতঙ্ক ছড়ালে নো ফ্লাই লিস্ট- এ নাম অন্তর্ভুক্তি হত। এবার বাইরে থেকে ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়া, বা ইমেলের মাধ্যমে বোমাতঙ্ক ছড়ালেও বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে, এমন আইন সংশোধনীর পথেই হাঁটছে সরকার।
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মোট তিনটি আলাদা আলাদা হ্যান্ডেল থেকে হুমকি মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে লন্ডন এবং জার্মানির বিভিন্ন জায়গা চিহ্নিত করতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। মোট ১৪টি বিমানসংস্থায় থ্রেট মেসেজ এসেছে শুধুমাত্র শুক্রবারই। গত এক সপ্তাহে বোমাতঙ্কের ভুয়ো মেসেজের সংখ্যা ৩৪।
উল্লেখ্য গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্ডিগো এবং ভিসতারার বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মুম্বইয়ে আসছিল ভিসতারার ওই বিমান। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে ১৪৭ জন যাত্রীকে নিয়ে রওনা দেয়। কিন্তু মুম্বইয়ের কিছুটা দূরেই বৃহস্পতিবার বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সমাজমাধ্যমে সেই হুমকি বার্তা পাওয়ার পরই জরুরি ভিত্তিতে ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। পরে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। অন্যদিকে আবার আর একটি ইন্ডিগোর বিমান তুরস্ক থেকে মুম্বই রওনা হয়। সেই বিমানেও বোমাতঙ্ক ছড়ায় ওই একই দিনে। যদিও সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। তবে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে বিমানে তল্লাশি করা হয়। প্রসঙ্গত, সোমবার একই ধরনের বোমা হামলার হুমকির মুখে পড়েছিল মুম্বইয়ের তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। পরে অবশ্য বিমানের অভ্যন্তরে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে কিচ্ছু পাননি সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরো (বিসিএএস), সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি এবং পুলিশের কর্তারা।