নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজো নির্বিঘ্নে কাটলেও কালীপুজোর আগেই আবহাওয়ার বড় পরিবর্তনের আশঙ্কা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা-বাংলার কাছে পৌঁছবে ‘দানা’। তবে বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে।
তবে ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) প্রভাব শহরে কতটা পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় পুরোপুরি তৈরি থাকছে কলকাতা পুরসভা। গাছ পড়ে গেলে তা সরানোর জন্য প্রতিটি বরোয় মোতায়েন থাকবে বিশেষ টিম। জল নিকাশি ব্যবস্থা তো বটেই, কলকাতার বাতিস্তম্ভগুলিও সোমবার পরীক্ষা করে দেখা হবে, যাতে তড়িদাহত হয়ে কারও প্রাণহানি না হয়। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হচ্ছে। প্রস্তুত থাকবে পাম্পিং স্টেশনগুলি। আজ, সোমবার সব বিভাগের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুর কমিশনার ধবল জৈন। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ঝড়ের পরে রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ সরানোর জন্য ১৬টি বরোয় আলাদা টিম গঠন করা হচ্ছে। হাইড্রোলিক ল্যাডার, ক্রেন, পে লোডার, ডাম্পার থাকবে।
তবে সময় যত কাটছে ততই বাড়ছে আশঙ্কা। ওড়িশা নয়, সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। রবিবার বিকেলের পূর্বাভাসে তেমনই জানানো হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি অত্যন্ত দুর্বল শ্রেণির হতে চলেছে বলে প্রাথমিক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। ঝড়ের জেরে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হলেও থাকছে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার রাতেই থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে আন্দামান সাগরে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণাবর্ত। ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে সোমবার সেটি গভীর নিম্নচাপের পরিণত হতে পারে। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় দানার চেহারা নেবে সেই নিম্নচাপ। এর পর উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সম্ভবত বুধবার মধ্যরাতে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে সেটি।
পূর্বাভাস অনুসারে বুধবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে শুরু হবে দমকা হাওয়া। সঙ্গে শুরু হবে বৃষ্টি। ধীরে ধীরে উপকূল লাগোয়া অন্যান্য জেলাতেও আবহাওয়ার অবনতি হবে। বুধবার বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আসল দাপট টের পেতে পারেন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। বুধবার গভীর রাতে সম্ভবত সুন্দরবন দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে এই ঝড়।
ঝড়ের (Cyclone Dana) কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ – ৮৫ কিমি। দমকা হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস তাতে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ প্রভাব পড়তে পারে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।