নিউজ ডেস্ক: অরিজিৎ সিংয়ের পর এবার গানে গানে আরজি করের চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদ ঝরে পড়ল শ্রেয়া ঘোষালের (Shreya Ghoshal) কণ্ঠে৷ শনিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গানের কনসার্ট করতে এসেছিলেন এই প্রখ্যাত গায়িকা। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা গেল নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সুর৷
প্রায় ৭০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে আরজি কর কাণ্ডের। রাজপথে অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বিচারের দাবিতে অটল তাঁরা। এ সবের মাঝেই ফের তিলোত্তমায় দাঁড়িয়ে ‘তিলোত্তমার’হয়ে গান ধরলেন শ্রেয়া। এই গান গাওয়ার আগে কাউকে হাততালি দিতে বারণ করেন শ্রেয়া (Shreya Ghoshal)। জানান, সেটি আরজি করের প্রতিবাদের জন্য তৈরি গান। এই গান উচ্ছ্বাসের জন্য নয়, উদ্দিপনার জন্য নয়। গান গাওয়ার আগে শ্রেয়া বলেন, ”এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।” এদিন নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রেয়া (Shreya Ghoshal) গাইলেন, ‘যত ইচ্ছের ভাঙা ডানা, যত গল্প নজরবন্দি / যত সন্ধের যাওয়া মানা, যত রাত্রির অভিসন্ধি / সব মিথ্যের আর ধন্দের, তাই রক্তের সোঁদা গন্ধে / শুধু পৌঁছে যাবে, ঘুচে যাবে, বেঁধে রাখা গণ্ডি / এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে / তাই ভাঙে পাড়, ভাসে ঘর, ভাঙে চেনা সুপ্তি / এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে / তুমি বন্ধু আজ শুনবে…।’ গান শেষ করেই মঞ্চ থেকে নেমে যান। আর শ্রেয়ার মঞ্চ ছাড়ার সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে মুখরিত হয় নেতাজি ইন্ডোর।
প্রসঙ্গত আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতার এই কনসার্ট পিছিয়ে দিয়েছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)। ১৯ অক্টোবর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হল শ্রেয়ার সেই কনসার্টই। যখন শহর জুড়ে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ চলছে চারিদিকে ঠিক সেই সময়ই এবার নিজের কনসার্টে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হলেন শ্রেয়াও। কলকাতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাইলেন গান।
এদিনের কনসার্ট শেষের পরেই ক্ষণিকের মধ্যেই শো-এর ভিডিও ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। শ্রেয়ার (Shreya Ghoshal) এই প্রতিবাদ দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা লিখছেন, ‘এমন প্রতিবাদের নজির আগে কখনও দেখেনি শহর কলকাতা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তখন দর্শকে ছয়লাপ। এতবছর ধরে প্রতিটা কনসার্টেই সর্বশেষ গান হিসেবে ‘মেরে ঢোলনা’ গেয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবার তা হলো না। মেরে ঢোলনা গাওয়া শেষ করে শ্রেয়া বললেন, এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।’ এক নেটিজেন লিখলেন, ‘তিলোত্তমার বুকে প্রতিবাদের স্বরকে তীব্রতর হতে দেখলাম আজ। বেঁচে থাক শ্রেয়া আর ওঁর সঙ্গীত সাধনা।’