নিউজ ডেস্ক: আরজি করের পর এবার ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন জুনিয়র চিকিৎসক এবং নার্সিং পড়ুয়ারা। সোমবার সকালে এই বিক্ষোভ শুরু হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা কলেজের এডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন। তাদের প্রধান দাবি, অধ্যক্ষের পদত্যাগ এবং হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ১২ দফা দাবি পূরণ।
একদিকে ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় টানা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তাররা। নানা ইস্যুতে জেলার হাসপাতালগুলিতেও আন্দোলন করছে তাঁরা। আর সেই একই সময়ে অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলে একাডেমিক বিল্ডিংয়ে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখায় এমবিবিএস পাঠরত পড়ুয়া, বিএসসি নার্সিং স্টুডেন্ট, জুনিয়র ডাক্তার, স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারীরা। এদিন তাঁরা একত্রে ১২ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাসপাতালে একাধিক দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে এমনকি থ্রেট কালচার চালানো হচ্ছে কলেজে। এরই প্রতিবাদে প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে চলছে বিক্ষোভ। জুনিয়র চিকিৎসক সৌম্যদ্বীপ বণিক জানান, রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সেই কারণেই এই অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। যতক্ষণ না কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সঠিক উত্তর মিলছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজের এক অধ্যক্ষ জানান, থ্রেট কালচার এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৯ জন পড়ুয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা এই বিক্ষোভের মূল কারণ বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়েছে এবং দ্রুতই চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন। উল্লেখ্য, এর আগে এই জেলার কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নিয়োগকে কেন্দ্র করে CMOH-এর অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।