নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়(weather update) দানা, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে এটি। মঙ্গলবার, এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং শক্তি বাড়িয়ে বুধবার, ২৩ তারিখের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে (weather update) রূপ নেবে। এই পরিস্থিতির ফলে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রতি মুহূর্তেই কড়া নজরের মধ্যে বিষয়টি রেখেছে আবহাওয়া দফতর।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মূলত ২৩ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর অবধি রয়েছে হলুদ, কমলা ও লাল সতর্কতা। মঙ্গল ও বুধবার সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগ ইতিমধ্যেই কৃষকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে। বিশেষ করে ধানের ফসলের প্রতি নজর রাখা প্রয়োজন। যারা ধান ৮০ শতাংশ পেকে গেছে, তাদের দ্রুত ফসল কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকায় বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী ইতিমধ্যেই সাগরে ঘনীভূত হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। মঙ্গলবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে নিম্নচাপ হিসেবে রয়েছে দানা। সাগর দ্বীপ থেকে বর্তমানে সেই নিম্নচাপের দূরত্ব মাত্র ৭৭০ কিলোমিটার। বুধবারই জন্ম নেবে ‘দানা’। আর বৃহস্পতি রাতেই হানা দেওয়ার সম্ভাবনা।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে জেলা পুরুলিয়াতে এমনটাই জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে। বৃষ্টির তাণ্ডব চললে আবারও নানান সমস্যায় পড়তে পারে জেলার মানুষ। হতে পারে তাপমাত্রার পরিবর্তন। এই দিন পুরুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গরম থাকতে পারে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সুত্রে। তবে পুরুলিয়া ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর , পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি সম্ভাবনা থাকছে। বুধবার দক্ষিণের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদল হবে। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে।