নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান সাগর দ্বীপ থেকে ৬৩০ কিলোমিটার, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৬০ কিলোমিটার ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। দানার প্রভাবে বাংলায় টানা ৩ দিন ধরে প্রবল দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
মঙ্গলবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে যে গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছিল, তা ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে একই অঞ্চলের উপরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এখন যেখানে ঘূর্ণিঝড়, সেখান থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আর বৃহস্পতিবার ভোরের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। উপকূল পার করতে পারে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবারের সকালের মধ্যে। পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়। তবে আবহবিদদের অনুমান, পশ্চিমবঙ্গে ল্যান্ডফল হবে না। ওড়িশার কোনও জায়গায় আছড়ে পড়বে। আর তখন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় উঠবে। ঝোড়ো হাওয়ার বেগ ১২০ কিমিতেও পৌঁছাতে পারে।
আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে পশ্চিমবঙ্গে ল্যান্ডফল হওয়ার শঙ্কা কম থাকলেও বঙ্গে প্রবল বৃষ্টি চলতে পারে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। মূলত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের উপরে ঘূর্ণিঝড়ের বেশি প্রভাব পড়বে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় তৈরি হয়ে গিয়েছে ‘দানা’ মোকাবিলার প্রস্তুতি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস থাকায়, ফিরে এসেছেন দিঘার মৎসজীবীরা। বুধবার থেকে দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে পুরী ছাড়ার হিড়িক পর্যটকদের মধ্যে। সময়ের আগেই হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। ২৩ থেকে ২৫ তারিখ ১৪টি জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওড়িশা প্রশাসনের তরফে। পুরীর সমুদ্র সৈকতের আশপাশে যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন তাঁদেরও অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।