নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই সাগরে জন্ম নিয়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘দানা’র দাপট। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সরকার। জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে যাতে পুরীর মন্দিরে কোনও বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য আপাতত মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মন্দির প্রশাসন।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই পুরী মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার শঙ্কায় আপাতত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে পুজো বন্ধ হবে না। মন্দিরের ভিতরে প্রতিদিনের মতোই সমস্ত আচার মেনে জগন্নাথ দেবের পুজো হবে।
এই ঘূর্ণিঝড়ে ওড়িশাতেই বেশি প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সতর্কতাবশে ওড়িশার ১৪টি জেলায় সমস্ত স্কুল আজ থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। উপকূলবর্তী ও নিচু এলাকায় বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। খোলা হয়েছে ফ্লাড সেন্টারও। সাধারণ মানুষকে শুকনো খাবার, পানীয় জল, ওষুধ ও ইমার্জেন্সি লাইট হাতের কাছে মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
ওড়িশার পাশাপাশি ঘুর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কলকাতা ও সুন্দরবন উপকূল এলাকায়। বুধবার সকাল থেকেই আকাশ কালো করে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সময় যত এগোচ্ছে উত্তাল হয়ে উঠছে নদী এবং সমুদ্র। পর্যটন কেন্দ্র বকখালি এবং গঙ্গাসাগরে সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লাগাতার চলছে মাইকিং প্রচার। আজ দুপুরের পর থেকে সুন্দরবনের সমস্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে পারাদ্বীপ থেকে ৫৬০ কিলোমিটার ও সাগরদ্বীপ থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আজ দিনভর আরও শক্তি বাড়াবে ঘূর্ণিঝড়। এরপর আগামিকাল, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টা থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫ টার মধ্যে পুরী ও সাগর দ্বীপের মাঝে ধামরা বন্দরের কাছে ল্যান্ডফল করতে পারে ঘূর্ণিঝড়।