নিউজ ডেস্ক: আবারও মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা। বুধবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক মহিলার। এর ফলে চাঁদনি চক স্টেশনে আটকে পড়েছিল একটি ট্রেন। ট্রেনের বড় অংশই আটকে ছিল টানেলে। ফলে কিছুক্ষনের জন্য ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক পরিষেবা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মেট্রোর তরফে জানা গেছে, বুধবার সকাল প্রায় ১১ টা নাগাদ এক মহিলা চাঁদনি চকে মেট্রো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই লাইনে ঝাঁপ দেন। এই সময় সঙ্গে তাঁর সন্তানও ছিল। মহিলা হঠাৎই ঝাঁপ দেন ও লাইনে আটকে পড়েন। কাঁদতে শুরু করে বাচ্চাটি। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে স্টেশন মাস্টারের ঘরে বসানো হয় ও খবর দেওয়া হয় মহিলার স্বামীকে। পার্কস্ট্রিট চত্বরের কোনও এক স্কুল থেকে ছুটির পর মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। পার্কস্ট্রিট থেকে উঠে নেমে পড়েন চাঁদনি চকে। এদিন মহিলার সঙ্গে কয়েক জন পরিচিতও ছিলেন। জানা গিয়েছে, এদিন মেট্রোয় উথে হঠাৎ মেয়ের সামনেই দক্ষিণেশ্বরগামী একটি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই মহিলা। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। কিন্তু লাইনে আটকে থাকেন ওই মহিলা। হঠাৎ এমন ঘটনায় চমকে যান নিত্যযাত্রীরা।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে মহিলাকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন মেট্রোর কর্মীরা। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্টেশনমাস্টারের ঘরে। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। চোখের সামনে মাকে ঝাঁপ দিতে দেখে কান্নায় ভেঙে পরে বছর সাতেকের মেয়েটি।ঘটনার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় আপ এবং ডাউন, উভয় লাইনেই গিরিশপার্ক থেকে ময়দান পর্যন্ত পরিষেবা। গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া কালীঘাট মেট্রোর লাইন। চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীদের প্রথমে বের করা হয়। পরে ধীরে ধীরে মেট্রোয় আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। অফিস টাইমে সকাল সকাল এমন ঘটনায় দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা।
সবমিলিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা মতো ব্যাহত থাকে মেট্রো পরিষেবা। বেলা ১১.৫০ টা নাগাদ ব্লু লাইনে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিক বার মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা সামনে এসেছে। সেনিয়ে সচেতন করা হলেও চিত্রটা পাল্টায়নি। বহু মানুষের অফিস, স্কুল বা কলেজ যাওয়ার মাধ্যম মেট্রো। অফিস টাইমে এমন ঘটনায় তাই নাজেহাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের।