নিউজ ডেস্ক: সামনেই দীপাবলি উৎসব। সেই দীপাবলীর আগেই জ্বলে ওঠে শত শত দীপ। আর এভাবেই অকাল দীপাবলিতে মেতে ওঠেন মায়াপুর ইসকনের ভক্তরা। লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে শুরু হওয়া এই দীপদান উৎসব চলবে পুরো একমাসব্যাপী।
আসলে কার্তিক মাস দামোদর মাস অথবা নিয়ম সেবার মাস হিসাবে পালিত হয় কৃষ্ণ ধর্মালম্বীদের কাছে। আর দামোদর মাসে কোজাগরি লক্ষ্মী পুজোর দিন থেকে ইসকনের প্রধান কেন্দ্র মায়াপুর ইসকনে শুরু হয়েছে এই দীপদান উৎসব। দীপদান উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটেছে মায়াপুর ইসকনে। সূর্যাস্ত যাওয়ার পরেই হাজার হাজার ভক্ত হাতে ঘি-এর প্রদীপ নিয়ে ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরে বিগ্রহের সামনে আরতি করতে থাকেন। আর এভাবেই প্রতিদিন সন্ধেয় একদিকে দামোদর অষ্টকম পাঠ, অন্যদিকে সমস্ত ভক্তের হাতে শত শত প্রদীপ জ্বলে ওঠে।
উল্লেখ্য, দীপাবলি এ বছর ৩১ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর এই দু’দিন পালিত হবে। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন রাতে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে বিচরণ করেন। দীপাবলির একটি শুভ সময়ে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে, দেবী লক্ষ্মী ঘরে থাকেন। অতএব, এই দিনে মানুষ তাদের ঘর সাজায় এবং দেবী লক্ষ্মীকে স্বাগত জানায়, তাঁর পুজো করে। কারণ দেবী কেবল সেই বাড়িতেই বাস করেন যেখানে পরিষ্কার, শান্তি এবং সুখের পরিবেশ থাকে। তাই ঘর পরিষ্কার ও সাজিয়ে দীপাবলি উদযাপনের রীতি রয়েছে।
এ বিষয়ে মায়াপুর ইসকনের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণ বিজয় দাস জানান, দামোদার মাসে লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে একমাসব্যাপী এই দীপদান উৎসব চলবে। সমস্ত ভক্ত তাঁদের মনোস্কামনা পুণ্যার্থের জন্য এই দীপদান উৎসব ভগবানের নামে উৎসর্গ করেন। প্রতিদিন সন্ধেয় হয় দামোদর অষ্টকম পার-সহ বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই দীপদান উৎসবে শুধু রাজ্য নয়, দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। প্রত্যেককে ইসকনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এই প্রদীপ দেওয়া হয় ভগবানের উদ্দেশে দীপ দেখানোর জন্য। আর এভাবেই একমাসব্যাপী এই দীপদান উৎসব চলবে মায়াপুর ইসকনের চন্দরা মন্দিরে।