নিউজ ডেস্ক: উপকূলের পরিস্থিতি সময় যত বাড়ছে ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। নদীগুলিতে বেড়েছে স্রোত। বারবার প্রশাসন সতর্ক করছে। এমনকী পর্যটকদের বুধবার দুপুরের মধ্যেও হোটেল খালির নির্দেশ দিয়েছে। বাঁশ দিয়ে সমুদ্রের পাড় যতদূর ঘেরা যায় ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তারপরও হুঁশ ফিরছে না একাংশ পর্যটকের। সেই উত্তাল সমুদ্রের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি-সেলফি তুলতে ব্যস্ত। কেউ বা মত্ত গল্পে। আজও দিঘায় সকাল থেকে সমুদ্রের পাড়ে বেশ কয়েকজন পর্যটকের আনাগোনা লক্ষ করা গিয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষের আর্জি মেনে সকাল থেকেই বহু পর্যটক দীঘা ছেড়ে যান। কিন্তু, অত্যুৎসাহী অনেক পর্যটক কিছুতেই হোটেল ছাড়তে নারাজ। বুধবার সারাদিন হোটেল কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের কার্যত চোর-পুলিশ খেলা চলল। কর্মীরা হোটেল ছাড়ার কথা বলতেই কেনাকাটার অজুহাতে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার দরজায় খিল তুলে কর্মীদের ডাকে সাড়াই দিলেন না। বৃহস্পতিবার সকালেই হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করার পরেও অনেককে টলানো যায়নি।
এ প্রসঙ্গে দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, অনেক পর্যটক সরকারি নিয়ম মেনে দুপুরের মধ্যে হোটেল ছেড়ে দিয়েছেন। তবে, না ছাড়ার সংখ্যাটাও কম নয়। তাঁরা আমাদের কথা কানেই তুলছেন না। কেউ কেউ দরজা বন্ধ করে চুপ করে বসে আছেন। শত অনুরোধেও সাড়া দিচ্ছেন না। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা কী করব? সুপার সাইক্লোন মানেই দীঘার সমুদ্রে দানব রূপ। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সমুদ্রের এই ভয়াল চেহারা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন অনেকেই। পর্যটকদের পাশাপাশি কাঁথি, এগরা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেও অনেকে সমুদ্রের এই বীভৎস চেহারা দেখার জন্য ছুটে আসেন।
একজন পর্যটক জানালেন, “প্ল্যানিং ছিল ফিরে যাওয়ার। ট্রেন বাতিল হয়েছে। আজ সেই জন্য বাসেই চলে যাচ্ছি।” আরও এক পর্যটক জানালেন, “আজ যেহেতু ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে। সেই কারণ আজ ফিরব। এতদূর থেকে এসেছি। দেখতে পাব না কিছুই। তাই রয়েছি।”