নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া জারি রাখার পর এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানাল মৌসম ভবন ৷ বর্তমানে এটি ওডিশার উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ক্রমশ হারাচ্ছে ৷ পরবর্তী 6 ঘণ্টার মধ্যে ধীরে ধীরে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে৷ ফলে আজ ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ।
ওড়িশার উপকূলবর্তী ১৪টি জেলায় ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। হাইঅ্যআলার্ট রয়েছে শ্রীক্ষেত্রে। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পুরীতে। চলছে বৃষ্টি। সমুদ্র উত্তাল, ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সমুদ্র সৈকত পর্যটকশূন্য। এরই মাঝে সকাল ৮টা থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর চালু করে দেওয়া হল। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই এই দুই বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল। একাধিক উড়ান বাতিল করা হয়েছিল এর জেরে। তবে আজ সকালে কিছুক্ষণ আগে থেকে ফের উড়ান ওঠানামা শুরু হয়েছে এই দুই শহরের বিমানবন্দরে।
তবে ওড়িশা উপকূল এবং গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গে ভোররাত থেকেই ভারী বৃষ্টি জারি আছে। বেলা গড়াতেও প্রবল বর্ষণ সেভাবে কমেনি। তবে দুপুর বা বিকেলের পর থেকে কলকাতায় বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাতে নবান্নে থেকে নজরদারি পর সকালেও সক্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার সকালেই পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর 24 পরগনা ও দক্ষিণ ২৪পরগনা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া-সহ 7টি জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা৷
যদিও কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে সেভাবে প্রভাব পড়েনি ঘূর্ণিঝড় দানার। তবে ভোররাত থেকেই প্রবল বৃষ্টিতে ভেসেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ১২ টার কিছুটা পর থেকে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়ের। এর জেরেই আজ সারাদিনই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।