নিউজ ডেস্ক: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি (CJI) হচ্ছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। আগামী ১১ নভেম্বর শপথ নেবেন তিনি। নিয়ম মেনে অবসরের আগে নিজের উত্তরসূরির নাম আগেই কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই সুপারিশ মেনে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকেই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নির্বাচিত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President of India Droupadi Murmu)। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের প্রধান বিচারপতি পদে রয়েছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর অবসরের পর সঞ্জীব খান্না এবার দায়িত্ব নেবেন। ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নিতে চলেছেন ১০ নভেম্বর। তার পরদিনই শপথ নতুন প্রধান বিচারপতির।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নিচ্ছেন। সূত্রের খবর, ঠিক এর পরের দিনই, ১১ নভেম্বর শীর্ষ আদালতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। গতকাল বৃহস্পতিবারই, তাঁর নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। এদিন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এক এক্স পোস্টে জানান,’ ভারতের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে, মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শের পর, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক শ্রী বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করতে পেরে খুশি হয়েছেন। ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ থেকে কার্যকর।’
প্রসঙ্গত, বিচারপতি খান্না (Justice Sanjiv Khanna) ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে অবশ্য তিনি কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন না। এবার তিনিই শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন। তবে তাঁর কাজের মেয়াদ হবে ছ’মাস। আগামী বছরের ১৩ মে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা।
১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসাবে উঠে আসেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি তিস হাজারি কমপ্লেক্সের জেলা আদালতে প্র্যাকটিস করতেন। পরে তিনি দিল্লির হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনালে প্র্যাকটিস করেন। বিচারপতি খান্না আয়কর বিভাগের সিনিয়র স্থায়ী কাউন্সেল হিসাবেও কাজ করেছেন এবং ২০০৪ সালে দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের স্থায়ী কাউন্সেল (সিভিল) হয়েছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টে অ্যামিকাস কুরি কেসে তিনি অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটার হিসাবেও ছিলেন।