নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই বন্যার জলে পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সবজি ক্ষেত। আর এবার হাজির সাইক্লোন। এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। দানার প্রভাবে চরম ক্ষতি হল ধান চাষে। কৃষকদের দাবি কয়েকদিন আগে বন্যায় চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল তারা, তারপরে আবার এই দানা। বিঘের পর বিঘে কৃষি জমির ধান পড়ে গিয়েছে মাটিতে, পাকা ধান ডুবেছে জলে। চরম দুশ্চিন্তায় পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। শুধু ধান চাষ নয়, এই দানার প্রভাবে আলু চাষও অনেকটাই পিছিয়ে যাবে। ক্ষতি হয়েছে সমস্ত কৃষিজ ফসলের। সব মিলিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় জেলার কৃষকেরা।
দানা-র প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বইছে ঝোড়ো হওয়া, সঙ্গে বৃষ্টি। ফলে মাথায় হাত সবজি চাষিদের। মাস দেড়েক আগে বন্যার জল জমি থেকে সরতেই নতুন করে জমি তৈরি করে আবার চাষ শুরু করেছিলেন সবজি চাষিরা। মূলত শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বরবটি, টমেটো, বেগুন, ঝিঙে, পটল, মুলো, করোলা সহ বিভিন্ন সবজির চাষ শুরু করেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই নতুন করে সবজি ক্ষেতে ধরেছে ফুল। কিছুদিন পর থেকে ফলতে শুরু করবে সবজি। তার আগেই দানা-র কোপ পড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এইসব এলাকার সবজি চাষীরা। বন্যার ক্ষত সারতে না সারতেই ফের দানা-র প্রকোপ পড়লে মাঠে মারা যাবেন তারকেশ্বর, ধনিয়াখালীর সবজি চাষিরা। আবারও বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে তো পড়বেনই, অন্যদিকে সবজি ক্ষেত নষ্ট হলে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে সবজির দাম।
অন্যদিকে ‘দানা’র প্রভাবে দিনাজপুরের খানসামায় রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের বেশিরভাগ ক্ষেতই নষ্ট হয়ে গেছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। এই বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের। বাতাসে নষ্ট হয়েছে মাঠের পাকা রোপা আমন ধানের। এদিকে এমন ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। ফলে অনেকটাই ক্ষতিসাধন হয়েছে বলেও জানান কৃষকরা।