নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শক্তিক্ষয়! ঘূর্ণিঝড়ের তকমা হারাল ‘দানা। আশঙ্কা ছিল, সেই মতো প্রস্তুতিও নিয়েছিল প্রশাসন। নবান্নে সারারাত জেগে জায়ান্ট স্ক্রিনে চোখ রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও মুখ্যসচিব। কিন্তু অবশেষে স্বস্তির শ্বাস। এই রাজ্যের তেমন প্রভাব পড়লো ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana)। যদিও শুক্রবার ভোর থেকে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বন্দর শহর হলদিয়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সেখানে চলছে বৃষ্টি। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হলদিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে ৬৩ মিলিমিটার।
তবে দানার শক্তিক্ষয় হলেও এখনই রেহাই মিলবে না বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। জানা যাচ্ছে, আরও এক দফা ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে কলকাতায়। ঘণ্টায় ২০ থেকে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা ও লাগোয়া জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। দুই ২৪ পরগনা, ও দুই মেদিনীপুরেও কমলা সতর্কতা রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়াতেও রয়েছে একই পূর্বাভাস। শুক্রবারই ব্যাপক হারে জল জমেছে জায়গায় জায়গায়। এবার আরও বেশ কিছু এলাকায় জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা। আরও বেশি জমিতে ফসল নষ্টের ভয় থাকছে।
অন্যদিকে পূর্বাভাস সত্যি করেই সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। কোথাও পড়ছে গাছ, কোথাও জমল এক হাঁটু জল। জল যন্ত্রণার ছবি দেখা গেল হলদিরাম-কৈখালি-চিনার পার্কে। প্রায় হাঁটু সমান জল। নিকাশি নালার কঙ্কালচার চেহারা একেবারেই সামনে এল। বিধাননগর কর্পোরেশন থেকে বৈঠক করে একাধিক পাম্পের মাধ্যমে জল সরানোর ব্যবস্থা করা হলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। একই ছবি প্রায় সর্বত্র। ফলে রাস্তায় বেরিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এছাড়া ঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাসে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবন বিষয়ক মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের কারণে সুন্দরবন বেল্টের অনেক এলাকায় সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়ায় জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।