নিউজ ডেস্ক: সবে কেটেছে দানার রেশ, কিন্তু ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন সবজি ক্ষেত, ক্ষতির আশঙ্কায় চাষিরা। চলতি সপ্তাহে কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জলাবদ্ধতায় পচন ধরতে শুরু করেছে বিভিন্ন সবজির গাছ ও চারায়। এসব দেখে মাথায় হাত কৃষকদের। সকলের গলাতেই হতাশার সুর। একই কথা সকলের মুখে, শুক্রবারের বৃষ্টিতে সব শেষ।
দু’দিন আগেও গোটা মাঠ জুড়ে ছিল সবুজের সমারোহ। ফুলকপি, লঙ্কা, টম্যাটো, ক্যাপসিক্যামের গাছ গুলো দ্রুত বেড়েও উঠছিল। ফলও ধরেছিল। আর ক’দিন পরেই বাজারে বিক্রি করে মোটা টাকা আসতো চাষিদের পকেটে। শুক্রবার থেকেই সব ছবি পাল্টে গেল। ঘূর্ণিঝড় দানা ল্যান্ডফল করার পর শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে জল জমেছে সবজি খেতে। সবুজ মাঠ এখন ধু ধু করছে। গোটা মাঠ কার্যত পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। সেখানে ভাসছে সবজির পাতা, গাছ। আগাম বাজার ধরতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর, মিনাখাঁ-সহ আশপাশের এলাকায় মাঠের পর মাঠে শীতের আগাম সবজির আবাদ হয়েছে। এরই মধ্যে পটল, বেগুন, শিম, করলাসহ বেশিরভাগ সবজির ফলন এসেছে। এছাড়া শীতকালীন অন্যান্য সবজি মাস খানেকের মধ্যে বাজারে উঠবে। কিন্তু অসময়ে বৃষ্টিতে কৃষকের আশায় জল ঢেলে দিয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে বেলা যত বেড়েছে তত বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। এমন ভারী বৃষ্টি হয়েছে যে মাঠে মাঠে হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছে। পচন ধরেছে সবজিতে। শীতকালের কথা ভেবে ভাঙড়ের দুটি ব্লকের ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যারা রবি শষ্যের চাষ করেছিলেন তাঁদের মাথাতেও হাত। চাষিদের দাবি, ভারী বর্ষনে মাঠ ভরা উচ্ছে, পটল, লঙ্কা, ফুল কপি, ব্রকোলি, বাঁধা কপি, টম্যাটো, ক্যাপসিক্যামের গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। একটানা বৃষ্টিতে শাক জাতীয় সবজি যেমন পালং, লেটুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষীদের আশঙ্কা এখন বৃষ্টি থামলেও কালীপুজোর সময় সবজি দর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। উল্টে কমবে জোগান।