নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলাতেই কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২০২২ সালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল সেই টাকার পাহাড়। এরপর মামলার জল গড়িয়েছে অনেকে। গ্রেফতার হয়েছেন একের পর এক ‘হেভিওয়েট’। এতদিন পর ফের ওই নিয়োগ মামলাতেই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, প্রসন্ন রায় ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা হোটেল, রেস্তরাঁ-সহ একাধিক ব্যবসা মিলিয়ে মোট ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, শুধু তাঁদের নয়, এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আরও অন্যান্যদের বহু সম্পত্তির খোঁজ পান তদন্তকারীরা ৷ এসএসসি’র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে বেআইনি নিয়োগ-কাণ্ডে মোট ৫৮৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে সিবিআই এর আগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে নিউটাউনের ব্যবসায়ী বলে পরিচিত প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । পরে যদিওবা সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়ে যান প্রসন্ন রায়। তবে জামিন পেয়ে স্বস্তি মেলেনি তাঁর ৷ পরে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি৷
সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছিল, যারা অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে, তারা এই প্রসন্ন রায়ের হাতেই টাকা তুলে দিয়েছে। সেই অর্থ এই দুর্নীতির রাঘব বোয়ালদের কাছে পৌঁছে দিতেন প্রসন্ন। এছাড়াও ইডির দাবি, অ্যাকাউন্টগুলিতে ৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ইডি আরও জানায়, প্রসন্নের স্ত্রীর আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। তাঁর অ্যাকাউন্টেও দু’কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ইডির দাবি, প্রসন্নের জমিতে কোনও চাষবাস হয়নি। এই আবহে এই মামলার তদন্তে প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা মোট ১৬৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানাল ইডি।