নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর ঠিক আগেরদিন মধ্যমগ্রামে তেলের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন। আগুনে ঝলসে মৃত একজন। দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। তবে কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি ভিতরে কেউ এখনও আটকে রয়েছেন কি না, তাও জানা যায়নি।
বাদু কাঞ্চনতলা চণ্ডীগড়ি কাছে এই তেলের কারখানা রয়েছে। সেখানেই এদিন আগুন লাগে। যেহেতু চারপাশে শুধুই দাহ্য তরল, মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তে কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে যায়। এলাকার লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি হাজির হয় দমকলের ইঞ্জিনও। প্রাথমিকভাবে দু’টি ইঞ্জিন আসে। পরে আরও তিনটি আনা হয়। এদিকে আগুন লাগার সময় ভিতরে বেশ কয়েকজন কর্মচারি ছিলেন। সকলে বেরিয়ে আসতে পারেননি। চারজন গুরুতরভাবে পুড়ে যান। এলাকার লোকজনই তাঁদের বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু হয়। চণ্ডীগড়ি মধ্যমগ্রাম বিধানসভার মধ্যে পড়ে, তবে থানা দত্তপুকুর। তাই বাদু ফাঁড়ির পুলিশ ও দত্তপুকুর থানার বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।
দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছে, আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা চলছে। তবে ওই কারখানায় রাসায়নিক মজুত থাকায় আগুন অ্যারেস্ট করতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে ফোম। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও জ্বলছে লেলিহান শিখা। তবে কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন আয়ত্তে আসার পর অগ্নিকাণ্ডের কারণ স্পষ্ট হবে।
এ প্রসঙ্গে বারাসত-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হালিমা বিবি বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসি। এসে শুনলাম একজন মারা গিয়েছেন, দু’জন আহত। পুলিশ ও দমকল দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। ভিতরে আর কেউ আটকে আছেন কি না তাও দেখছেন। জানি এখানে নানারকমের ব্যবসা হয়। কিন্তু এখানে যে এরকম একটা কারখানা ছিল তা আমার জানা ছিল না। আর কাগজপত্র কী আছে না আছে সেটা তো এখনই দেখে বলা যায় না। আগে পরিস্থিতি সামলানো হোক। তারপর বাকিটা অবশ্যই দেখব।’