নিউজ ডেস্ক: শীতের আগে ফের প্রাণ কারল ডেঙ্গি। বিধাননগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শরৎপল্লীর শ্রীবানী দাস (৬৯) নামে এক মহিলার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে ‘ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভার’-এর উল্লেখ। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটায় বাগুইহাটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। শনিবারে তাঁর মৃত্যু হয়। বিধাননগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এ বছরে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। ইতিমধ্যেই পৌরসভার পক্ষ থেকে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা ঘটনাটি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিমানবন্দরের পিছনে প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী রাস্তার দু’ধারে জঙ্গল ও আবর্জনার স্তূপে কার্যত নরকে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটির এ হেন দুরবস্থা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই বিধাননগর পুরসভার। দীর্ঘদিন ধরে এক কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার এমনই দশা হয়ে রয়েছে। ঘটনাচক্রে ওই জায়গার অদূরে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলও রয়েছে। বছর দুয়েক আগে ডেঙ্গিতে কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বিধাননগর পুর এলাকায়। এ বার এখনও পর্যন্ত এই একটিই ডেঙ্গি-মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানান হয়েছে,ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও। এখনও সম্পূর্ণভাবে ভয় কাটেনি। তাই সতর্ক থাকতে হবে সকলকেই। প্রসঙ্গত এই বছরই বর্ষার আগে আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি এই দুই জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। স্পেশাল ড্রাইভের নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। পাশাপাশি বর্ষার শুরুতে মালদহতে তড়তড় করে বেড়ে ছিল ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিরোধ করতে স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন দফায় দফায় বৈঠক করেছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ব্লকেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। শুধু ডেঙ্গি নয় , ম্যালেরিয়াও রয়েছে তার সঙ্গে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ। বিভিন্ন জায়গায় পুরসভা উদ্যোগ নিয়ে ছাড়ে গাপ্পি মাছ। উৎসবের মরশুমে এভাবে ডেঙ্গিতে মৃত্যু কার্যত শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।