নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের নারী নির্যাতনের অভিযোগ, এবার মালদার হবিবপুরে। পাঁকা বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে নিরেযাতনের অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে এখনও পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় এখন পুলিশের হেফাজতে। আর এরই মধ্যে ফের আরও একবার ধর্ষণে নাম জড়াল আরেক সিভিক ভলান্টিয়ারের। ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদা জেলা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে।
নির্যাতিতা ওই গৃহবধুর অভিযোগ, কালী পুজোর রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি । রাত নটা নাগাদ জোরপূর্বক তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। তার উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। ধর্ষণের অভিযোগও এনেছেন তিনি। তাঁর চিৎকারেই প্রতিবেশী এবং তাঁর বাবা-মা ছুটে আসেন। তখন বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, ঘটনার প্রতিবাদ করায় নির্যাতিতা ও তাঁর বাবা-মাকে মারধর করা হয়। ঘটনার পরের দিন থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। থানায় লিখিত অভিযোগের পরও অধরা অভিযুক্ত। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকিও নাকি দিচ্ছে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। এমনটাই দাবি নির্যাতিতার।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার কে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। গোটা ঘটনায় হবিবপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মালদা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ওই মহিলা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার। যদিও তারপর অভিযোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।