নিউজ ডেস্ক: ট্যাব চাই, নাহলে ছাড়ছি না রাস্তা। এদিন এই স্লোগান দিতে দিতেই রাস্তায় নেমে পড়ল একদল পড়ুয়া। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল জলঙ্গী শেখপাড়া রাজ্য সড়ক। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, আশপাশের সব স্কুলে ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বারবার ডেট দিচ্ছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আর সে কারণেই বাধ্য হয়ে তাঁরা বিক্ষোভে সামিল কাজীপাড়া হরিদাস বিদ্যাভবনের পড়ুয়ারা। এদিকে স্কুলের পড়ুয়া পথ অবরোধ করছেন, এই খবর কানে যেতেই ওই এলাকায় ছুটে আসেন প্রধান শিক্ষক। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাতেও নিরস্ত্র করা যায়নি পড়ুয়াদের।
এদিন শুরুতে সাগরপাড়ায় শুরু হয় পথ অবরোধ। চলতে থাকে স্লোগান। বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। তার জেরে জলঙ্গী শেখপাড়া রাজ্য সড়ক বেশ কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় একের পর এক বাস, লরি। এদিকে উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আঅসে সাগরপাড়া থানার পুলিশ। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বলছেন, “আশপাশের প্রায় সব স্কুলে পড়ুয়ারা ট্যাব কেনার টাকা পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু, আমাদের শুধু আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। আমাদের কাছে বিক্ষোভ দেখানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।”
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে যখন পড়ুয়ারা আন্দোলন করছে ট্যাবের টাকা না পেয়ে সেই সময় আবার বর্ধমানে ২৮ জনের অ্যাকাউন্টে ঢুকল না টাকা।যার জেরে হতাশ পড়ুয়ারা। শেষে শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে সিএমএস হাইস্কুলে। এই বছর ৪১২ জন পড়ুয়ার আবেদন করেন ট্যাবের জন্য। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায়ের দাবি, স্কুলের ৪১২ জনের মধ্যে ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি ট্যাবের টাকা। তিনি বলেন, গত ২১ ও ২২ অক্টোবর দু’দিনে ফোন করে স্কুলের ১৭ জন পড়ুয়া জানায়, তাদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা ঢোকেনি। তারপর স্কুলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি জানানো হয় ডিআই,অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা), ডিপিওকে। পাশাপাশি ডিআইয়ের পরামর্শ মত পুলিশের সাইবার থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় দাবি করেন, স্কুলের তরফে কোনও গণ্ডগোল নেই। প্রত্যেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্কেকে ওয়াইসি একেবারে আপডেট আছে। সুতরাং স্কুলের কোনও ভুল বা ত্রুটি নেই।” একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া জুনেদ চৌধুরী, সুদীপ্ত ধীবররা বলে, “এখন জানি না টাকা পাবো কি না।ট্যাবের জন্য টাকা না মেলায় আমরা ট্যাব কিনতে পারছি না।”