নিউজ ডেস্ক: কারও জ্বর, কারও অসহ্য শরীরে ব্যথা। গোটা গ্রামজুড়ে ছবি প্রায় একই। মেডিক্যাল টিম প্রথমে ডেঙ্গি ভেবে ভুল করলেও, পরে সামনে এল আসল কারণ। গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চিকুনগুনিয়া। গ্রামের সব পরিবারেই এক বা একাধিক জন আক্রান্ত জ্বরে। ইতিমধ্যেই ২৪ জনের চিকুনগুনিয়া ধরা পড়েছে। অনেকেই খুব গুরুতর অসুস্থ। আশঙ্কাজনক। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশেপাশের গ্রাম তথা গোটা জেলা জুড়েই। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখেও ৩ নম্বরে রয়েছে মালদা।
ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ ছিলই। এবার দোসর হয়ে হাজির চিকুনগুনিয়া। শীতের মুখে নতুন করে রাজ্যের একাধিক জেলায় বাড়ছে মশা বাহিত রোগের দাপট। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১৭ হাজার ৬৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। শীতের মুখে নতুন করে একাধিক জেলায় সংক্রমনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে হাজির চিকুনগুনিয়াও। প্রসঙ্গত, মালদহ জেলায় অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০৪ জন। নতুন করে চিকুনিগুনিয়ার দাপট দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মধ্যেও। মশাবাহিত জোড়া মারণ রোগের মোকাবিলায় শুরু হয়েছে মশা নিধন পর্ব। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতা প্রচারেও। বাড়ির আশেপাশে কোথাও জমা জল যেন না থাকে, হাত পা ঢাকা দেওয়া জামা পরার কথা বলা হচ্ছে। রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
স্বাস্থ্য দফতর থেকে গ্রামবাসীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রায় তিন মাস ধরে অজানা জ্বর নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে মালদার কলাইবাড়ি গ্রামে। জ্বরের সঙ্গে অসহ্য হাতে পায়ে ব্যাথা অনুভব করছেন এখানকার চিকুনগুনিয়া আক্রান্তরা। প্রথমদিকে এই রোগ নির্ণয় করা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে । ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের রিপোর্টের পর জ্বরে আক্রান্ত ৫০জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাতেই জানা যায় সাধারণ জ্বর নয়, এই গ্রামে বহু মানুষ চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত। তাই সময় থাকতে এলাকায় এলাকায় মশা নিধনের পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে সচেতনতার প্রচারও।