নিউজ ডেস্ক: আলোর উৎসবের আবহে ভক্তদের বিরাট সুখবর দিল চন্দ্রবিন্দু। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই শোনা গিয়েছিল দীর্ঘ ১২ বছর পর নিজেদের দশম অ্যালবাম নিয়ে আসবেন উপল-চন্দ্রিল-অনিন্দ্যরা। সেইমতোই বছরের শেষলগ্নে মিলল ভালোবাসায়মাখা ‘টালোবাসা’র খবর। হ্যাঁ, আসছে চন্দ্রবিন্দুর দশম অ্যালবামা‘টালোবাসা’।
‘চন্দ্রবিন্দু’ ছাড়া যেমন বাংলা ব্যাঞ্জন বর্ণমালা অসম্পূর্ণ, তেমনই বাংলা ব্যান্ডের তালিকাও একদম অসম্পূর্ণ উপল-অনিন্দ্যদের ‘চন্দ্রবিন্দু’ ছাড়া। নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের কাছে ‘চন্দ্রবিন্দু’ শুধু একটা বাংলা ব্যান্ডের গান নয়, বরং ইমোশন। চন্দ্রবিন্দুর যেমন গানের সুর, তেমনই কথার ধার! প্রথম অ্যালবাম যখন বেরিয়েছিল, সালটা ১৯৯৭। আর শেষ অ্যালবাম ২০১২ সালে। এরপর কেটেছে ১২ বছর। গান শোনার মাধ্যমে বদল এলেও আজও কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা নতুন গানের গন্ধ শুঁকতে চান, হাতে ধরে স্পর্শ করতে চান! তাই উপলের বুদ্ধিতে নতুন অ্যালবামের রেকর্ড নিয়ে হাজির চন্দ্রবিন্দু।
এক যুগ বাদে এই নতুন অ্যালবাম বের করা প্রসঙ্গে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “একটা বয়স ছিল যখন বছর বছর আমাদের অ্যালবাম বেরত। আমাদের দু’চোখ জুড়ে স্বপ্ন ছিল, একদিন দশখানা অরিজিনাল অ্যালবাম বের হবে। প্রথম ক্যাসেট বেরিয়েছিল ১৯৯৭ সালে। তার ২৭ বছর পর চন্দ্রবিন্দু সত্যিই দশম অ্যালবাম বার করতে পারল।” রেকর্ডের আকারে নতুন অ্যালবাম প্রকাশের ভাবনা অবশ্য উপল সেনগুপ্তর মস্তিষ্কপ্রসূত। অনিন্দ্য বলছেন, “একটা ব্যাপারে ধন্দে পড়েছিলাম আমরা। এমন অ্যালবাম বেরবে সে শুধুই আইটিউনস আর স্পটিফাই’তে শোনা যাবে, এদিকে হাতে নেওয়া যাবে না, গন্ধ শোঁকা যাবে না নতুন গানের? বুদ্ধি বাতলাল উপল, রেকর্ড বার করি চল। এমন সাধু প্রস্তাবে সবাই একজোট হয়েছি। বন্ধুরা এগিয়ে এসেছে নানান দেশ-মহাদেশ থেকে। চন্দ্রবিন্দুর ১০ নম্বর অ্যালবাম শেষমেশ মুক্তি পাচ্ছে নতুন এক চেহারায়। এক অপার আনন্দ সরণী বেয়ে ক্যাসেট থেকে এই রেকর্ডে হাঁটার দীর্ঘ পথচলাগুলো খুব উত্তাল ও উত্তাপময় ছিল।”
অন্যদিকে ব্যান্ডের আর এক সদস্য উপল সেনগুপ্ত বলেন, ‘কেউ যদি নব্বইয়ের দশককে চিনতে চান, জানতে চান, ‘চন্দ্রবিন্দু’-র গানে সেগুলো পেয়ে যেতে পারেন। আজ সেলুলার পেজার নেই। আগামী দিনে হয়তো গোলবাড়ির কষা মাংসও থাকবে না। কিন্তু ‘চন্দ্রবিন্দু’-র গানে এই সব পাওয়া যাবে।’