নিউজ ডেস্ক: সকালের দিকে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব। জেলার বিভিন্ন অংশ ঢাকা পড়ছে কুয়াশায়। এমনকি শরীরে একটা ঠাণ্ডা অনুভুবও লাগছে। তবে বেলা বাড়তেই বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। অনুভূত হচ্ছে গরম। রাজ্যের বর্তমান আবহাওয়া এমনই। তবে নতুন করে দিন রাতের তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা শনিবারের আগে কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের কারণে সকালের দিকে কোথাও কোথাও কুয়াশা ও ধোঁয়াশার পরিস্থিতি তৈরি হবে। পশ্চিমের জেলা সহ কিছু জেলায় হালকা শীতের আমেজ রাতে ও ভোরে।
বাংলার তাপমাত্রায় শীতের (Winter) কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই নভেম্বর মাস শুরু হয়েছে, কিন্তু শীতের আমেজ এখনও দৃষ্টিগোচর হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্যমতে, আগামী পাঁচ দিনেও তাপমাত্রায় কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনও বেশ উঁচুতে অবস্থান করছে, আর শীতের প্রকৃত আগমন কবে হবে, তা নিয়ে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা এখনও নিশ্চিত নন। উত্তর কিংবা দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রার কোনও হেরফের ঘটবে না বলেই ধারণা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে সামান্য বৃষ্টি হলেও মূলত শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে।
অন্যদিকে দার্জিলিং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি উত্তরবঙ্গের কোন জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে নিচের জেলা মালদা ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। মূলত বিহার সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে কুয়াশার প্রকোপ বেশি থাকতে পারে। উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের ভোরের দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সম্ভাবনা থাকবে। এমনকি জলপাইগুড়ি বা রায়গঞ্জ থেকেও স্লিপিং বুদ্ধ দেখার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৫ থেকে ৯৪ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করবে। শীতের আশা করলেও, আর্দ্রতার এই উঁচু স্তর তাপমাত্রাকে কমিয়ে শীতের অনুভূতি সৃষ্টি করছে না। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শীত আসতে আর কিছুদিন সময় বাকি, তবে এই পরিস্থিতি ধরে থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যে শীতের প্রবাহ আসতে পারে।