নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারি পরীক্ষায় অনিয়ম রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশের পরই কড়াকড়ি। আরজি করের ঘটনার পরই ডাক্তারি পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ ওঠে পরীক্ষায় বিস্তর অনিয়ম হয়। তখন ডাক্তারি পরীক্ষায় কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সেই নির্দেশের পরই এবার ডাক্তারি পরীক্ষায় অনিয়ম রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রে যে সিসিটিভি রয়েছে, তার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে নজরদারি চলবে।
একইসঙ্গে বলা হয়েছে, পরীক্ষার খাতায় উল্লেখ থাকবে না কারও নাম। থাকবে শুধু বারকোড এবং কোড নম্বর। টোকাটুকি বা অনিয়ম করলে সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হবে অভিযুক্তর খাতা। সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য বিদ্যালয়ের। বৃহস্পতিবার সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হল। এছাড়াও প্রশ্নপত্র যে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পাঠানো হবে, তা বিলির আগে কোনও ভাবেই যাতে ফাঁস না করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রুখতে নির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে যা নিরাপত্তার কারণেগোপন রাখা হয়েছে সকলের থেকে। নির্দেশিকায় আরও বলা রয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে পরীক্ষার্থীরা কী নিয়ে ঢুকছেন, তা দেখা হবে। পরীক্ষার ঘরে ঢুকে যদি দেখা যায় কেউ অনিময় করছেন, টোকাটুকি করছেন, মোবাইল বা গ্যাজেট নিয়ে গিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে তাংদের উত্তরপত্র বাতিল করা হবে। পাশাপাশি, উত্তরপত্রে কারও নাম থাকবে না। থাকবে একটি করে কোড। প্রশ্নপত্রও থাকবে আলাদা কোড। কোন কেন্দ্রে, পর পর কী প্রশ্নপত্র রয়েছে, তা পরিষ্কার ভাবে বলা থাকবে না। বারকোডের মাধ্যমে সব বোঝা যাবে।
এছাড়াও প্রতি ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী পিছু একজন করে ইনভিজিলেটার বা পরীক্ষক রাখতে হবে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে ন্যূনতম এক ঘন্টা আগে পৌঁছোতে হবে। পরীক্ষার্থীদের চেক করার জন্য মহিলা এবং পুরুষ কর্মীরা থাকবেন। পরীক্ষার হলে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হবে। এখানেই শেষ নয়, পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র সংগ্রহের পর স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়েই সেগুলি জমা থাকবে। সেখানে উত্তরপত্র চেক করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে গত সপ্তাহেই বৈঠক হয়, আর সেখানেই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের পরামর্শ নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আগামী মাসে যে স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা রয়েছে, তখন থেকেই এই নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়।