নিউজ ডেস্ক: গতকাল ছিল নবমী। জগদ্ধাত্রী পুজোয় সেজে উঠেছে কৃষ্ণনগর থেকে চন্দননগর। চারিদিকে শুধুই আলোর রোশনাই। প্রতিমা ও আলোকসজ্জা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন প্রচুর দর্শনার্থী। আর এই ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের। রাত যত বেড়েছে, চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখার ভিড় ততই বেড়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাইরে দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন। আর এই ভিড় দেখেই কর্মকর্তারা জানালেন এবার পুজোয় অষ্টমীর ভিড় ছাপিয়ে গেল নবমীতে। পুলিশের হিসাব বলছে, ১৫ লাখের বেশি লোক চন্দননগরে ভিড় করেছেন নবমীতে।
আসলে রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় নবমীতে জগদ্ধাত্রী পুজো হলেও চন্দননগরে উৎসব চলে পাঁচ দিন ধরে। ষষ্ঠী থেকে শুরু হওয়া উৎসব শেষ হবে দশমীতে শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে। চন্দননগরে দশমীতে সাধারণত এই শোভাযাত্রা দেখতেই ভিড় করেন মানুষ। তাই সেই অর্থে মণ্ডপ এবং প্রতিমা দর্শনের শেষ দিন রবিবারই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শেষ দিনে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছিল চন্দননগরের রাস্তায়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে। সকলের মুখে একটাই কথা, ‘‘আবার তো একটা বছর।’’
এ প্রসঙ্গে চন্দননগরের হালদারপাড়া আদি বারোয়ারির সহ-সম্পাদক অশোক সাহা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন পুজোর সঙ্গে যুক্ত আছি। নবমীতে এত মানুষ দেখিনি। যা আশা ছিল তার থেকে অনেক বেশি দর্শনার্থীদের সাড়া পেয়েছি।’’ আসলে ষষ্ঠী সপ্তমীর ভিড় সামাল দেওয়া গেলেও অষ্টমীর দুপুর থেকেই মূলত চন্দননগরে ভিড় হতে শুরু হয়েছিল। অষ্টমীর রাতেও রেকর্ড পরিমাণ ভিড় হয়েছিল চন্দননগর শহরে। কিন্তু বিকেল থেকে জনপ্লাবন বইতে শুরু করে চন্দননগরের অলিতে গলিতে। এই ভিড় সামাল দিতেই রাত ১টা পর্যন্ত রবিবার লঞ্চ সার্ভিস চালু ছিল। ভোররাত পর্যন্ত ছিল পূর্ব রেলের ট্রেন পরিষেবা। পুজোর সময় এই ভিড়ের মধ্যে যাতে কারুর কোনরকম সমস্যা না হয়, বা কোন অপ্রিতিকর অঘটন না ঘটে তাই জন্য পুলিশের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। এর পাশাপাশি .১৩৩টি পুজো কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর কর্মকর্তারা ভিড় সামলাতে ছিলেন রাস্তায়।