নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে শিয়ালদা আদালতে শুরু হল আরজি কর মামলার বিচার প্রক্রিয়া। সিবিআই তদন্তভার গ্রহণের ৮৭ দিন পর সোমবার থেকে ‘ইন ক্যামেরা’ বা বন্ধ কক্ষে হচ্ছে মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এই আদালতে চলছে আরজি কর মামলা। রোজ চলবে এই মামলার শুনানি। আরজি কর কাণ্ডের প্রথম দুই সাক্ষী হিসাবে আজ আদালতে বয়ান দেবেন নির্যাতিতার বাবা-মা। শিয়ালদহ আদালতে তাঁদের বয়ান নথিভূক্ত করবেন এই মামলার বিচারক।
আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই জানানো হয়েছিল ১১ নভেম্বর থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হবে এবং রোজ হবে শুনানি। সেই মতোই সোমবার নির্যাতিতার বাবা-মাকে আদালতে নিয়ে গেছে সিবিআই। এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কেও শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়েছে। নির্যাতিতার বাবা-মার সাক্ষ্য নেওয়া হলে সিবিআই-এর তালিকায় থাকা ১২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আজ প্রথম দফায় ৫৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। এই তালিকায় জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে পুলিশ আধিকারিক, ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিক অনেকেই আছেন। যে দিন সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল সেদিনই বিস্ফোরক দাবি করেছিল সে। ‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে। সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি রেপ-মার্ডার করিনি।’ সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই দাবি করেছিলেন সঞ্জয়। আরজি করের ঘটনার গ্রেফতারির পর প্রথমে সে বলেছিল, ‘আমিই দোষী, আমাতে ফাঁসি দিন।’ কিন্তু তারপর এক দফার শুনানিতে সঞ্জয় বিচারককে বলেছিল, ‘স্যর আমার কিছু বলার রয়েছে। নয়তো দোষী করে দেবে।’ তবে শিয়ালদহে আদালতে তাকে শেষ যে দিন তোলা হয়েছিল সেদিনই কার্যত ‘বিস্ফোরণ’ ঘটায় সে।
আজ দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ অভিযুক্তকে এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর এই মামলার সঙ্গে যুক্ত নন যাঁরা, তাঁদের আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। প্রসঙ্গত, ‘ইন ক্যামেরা’র অর্থ বন্ধ কক্ষে বিচার। এই রুদ্ধদ্বার বিচার প্রক্রিয়ায় বাইরের কারও প্রবেশাধিকার নেই।